জুলাই 2017

কবিওকবিতা
ভালবাসা কখনো রৌদ্র  মেঘের
ছায়ায় মিশে যায়,
অচেনা অজানা ফুল পরীর সাথে
বিহঙ্গের গান গায়।
কখনোবা অচেনা পথে প্রান্তরে
একাকি কাতরাতে থাকে-
দৃষ্টিহীণ হয়ে কখনোবা কর্কট-
কাটা ভরা অরণ্যে যায়,
অনাহারে অর্ধাহারে কতদিন রাত-
অপেক্ষায় বয়ে যায়।
আমি দেখেছি কখনোবা ভালবাসা
উচ্চ আকাশে চাঁদের সাথে-
মিশে জোছনার হয়ে যায়।
কখনোবা দিনের আলোতে মিশে
দখিন হাওয়ার সাথে সতেজ দান করে।
ভালবাসা কখনো, গাঁয়ের মেয়ের চুলে-
লাগানো ফিতার সাথে বকুল মালা,
কখনোবা শত ব্যাথার মাঝে প্রিয়ার
দর্শনের স্পর্শে কেটে যায় বেলা।
কখনোবা বিরহ যন্ত্রনায় কাতর হয়ে
নয়ন কোনায় জল জমে
ভালবাসা মানে দিনের পর দিন
প্রেমের পাখিকে কাছে রাখা,
কখনোবা বুকের ভিতর জলন্ত
আগুনের যন্ত্রনা।
তারিখ ও সময়:- ১১/০৭/২০০৫, ০৮-২৫

কবিওকবিতা
চাইনি আমি তোমার ধন আমায় দাও,
চাইছি শুধু দুঃখ ব্যাথা-
কিছু না হয় বিলাও।
আমার থেকে নিও কিছু তোমার পাঁজরে,
একে অন্যে মিশে থাকবো-
দুঃখ সুখের সাগরে।
নয়ন দৃষ্টি মিলাবো দুনিয়ার লিলায়,
অন্য চক্ষু থাকিবে জেগে-
দু-জনার বাসনায়।
জীবন নামক অন্ধঘরে
কত বিরহের খেলা,
ভাসিয়ে নিব দু-জন দু-জনায়
ভাসাবো মনের ভেলা।
বিকেল, চৈতালি রোদ শেষে-
ঘাসের বুকে পরশ,
দু-জন বসে ভোগ করিবো অদৃশ্যের রস।
জীবন ঝড়ে সাগর তীরে
আঘাত আসে বারেবার,
তখনো রহিবো আপনা পাশে
প্রতিজ্ঞা করি এবার।
নেই কোন স্বার্থ, লাভ ক্ষতির হিসেব,
সুখ দুঃখের আদান প্রদান-
চিরদিন থাকে সেভ ।
তারিখ ও সময়:- ১৬/০৭/২০০৫, ১৯-০৫

মানবাত্মা কবিতা
ভাঙিয়াছে শিরদাঁড়া কুঁজোকাল মোর
শক্তিহীনা দেহতরী স্বপ্ন ভাঙার প্রসর
একাকি কাল পাশে থাকেনা কেহ
গল্পগানের রসানী রুপে ঝরা পালকের দেহ,
মূল্যহীনা সফেত, কাদা মত্তিকায় ভরা
যৌবনহীনা কাঙ্গালী বেশে ধরা,
আদর নেই মায়ার প্রজ্জলিত রুপে
দিতে পারেনা, শুধু চাহে অরুপ চুপে,
মানুষের মাঝে নেই তিনি, নেই আবেশে
পত্রমিতালী প্রেমপূজনে কেউনা ভালবাসে।
৪১
নেই সেই, এই আছে, ছায়াপাত গহন
মুড়ালী প্রেমহীনা কাঙ্গালি চরণ,
কূহু কেকা ভিতরেই, নহে বাহির পানে
স্বর্নালী যুগ নেই, জল পিয়াসি স্নানে
শুধু কিরা কূহন অগোছালো কাল
মানুষ রুপি বোধ নেই, যেথায় একাল
পড়ে থাকা সভ্য, উঠে আসা নহে
আঁধার ঘরে জীবন যেন রহে
সুখদুঃখ এখানে সোয়ারী চিত্যদানে
মুঞ্জুরী ঝরা কূলে অনশন বানে।
             -শেষ-

মানবাত্মা কবিতা
ওরা থামেনা, অপ্রজ্জল রেখা ভাঙিয়া-
নিখিল অরণ্যপাতে যায় দিশা দিয়া,
ওরা কাঁদেনা কান্না, কাঙ্খিত নহে,
ছুটে চলে দূর্মর জীবন- দ্রাহে,
নেইতো ক্লানি- হতাশার অবলিলা
তৃর্ষ্ণায় দেয় জল অন্তরঙ্গ খেলা,
ওরা তবুও মানব, বিজলী স্বপ্নে
সংসার আছে প্রেমাত্ব চুম্বনে
ওরা তারুণ্য অভয়ে প্রলয় শিখা
ওরা জাতির কর্ণধার স্বর্নশিখরে লেখা।
৩৮
মরিয়া গিয়াছে দেহের অন্তর পিলা
থর থর বুক কাঁপে কফিনে খেলা
কে নিবে লও তাহারে তুলিয়া ?
কেউ নেই দেখি যেন থাকে পড়িয়া,
মানুষ সেতো, পশু নহে, সৃষ্টি ভোলা
পথে পড়ে লাশ তাহার এই কালবেলা ?
দাবী নেই জঞ্জাল তবে কি তিনি ?
মরিতে হবে সবের কভু বুঝিনি
নিস্ফল নিয়াময় মায়া মুখখানি
ওপারেতে যাবে তিনি কেউ শোনেনি।
৩৯
রক্ত চোষা পাষাণ বেদি নর হত্যাকাল
মারবোরে হায় এক গুসিকিল বুঝিবি অনন্তকাল,
আমরা জাতি, নই বিজাতি থাকিবো নত শিরে ?
উত্তাল মোরা রক্ত তেজী ধরনীর বুক জুড়ে,
আমরাতো রাজসিংহাসনে গুপ্ত পাথারে
অপরাধ যাহার ধ্বংস তারই, মারিবো পোড়ে
শান্তি বিনা নেইতো চাওয়া, কলঙ্ক নয় হায়
ছুঁড়ে ফেলি গহিন বনে জীর্ন চুল্লির পায়,
সমাজ সাথে আমরা একই পথে
দুঃখসুখে বিবেধ হীনা বাঁচিতে চাই সাথে।

মানবাত্মা কবিতা
ছোট কথা ছোট মানসি মন
বেলা অবধি অন্য বেলা তাহার ক্ষণ,
পারেনা চলিতে কহিতে রাঙা মঞ্জুরী
দুঃখ ব্যাথার কোন সে রুপ বাড়ি ?
কাঁদে হায়, কিবা দায় তাহার ?
ক্ষুদ্র কাব্যে থাকিলো জানি অপার,
একদা জন্মিবে তব ফানুষী দ্বার
কুঞ্জে রটিবে বিশাল কর্ম তাহার,
মানব ছিল তারপর দিব্য মানুষ
চৌধারে দিপ্তলেন, নহে জুলুস।
৩৫
তিনি রাজা, রাজত্ব আজ্ঞে তাহার
হিরা মানিক রত্মভান্ডারে একাকার
দূর, অদূর, হস্ত দিশারি পাতাল
কুর্নিশ লহে প্রজার থেকে সেকাল,
হুকুমাতে সোয়ারী সর্বাঞ্চল
কাঁপে থরথর ভূমি তল,
অকারণে শিরচ্ছেদ নতুবা দয়াবান
দুঃখ দেখিয়া হৃদয় কাঁদে, খুলিয়া দেয় প্রাণ,
সেই ভবে নয়তো উপুরি ভাব
কান্ডারি যাহাদের তরে পক্ষিয় স্বভাব।
৩৬
পতিতায় বাস ওখানেই সোয়ারী
দুঃখসুখ জীবন- কালে উহাতেই তরী
যেতে নেই আসিতে পারো
রুদ্ধ দ্বার খুঁলিতেনা পারো.
দেনা আছে পাওনার পালঙ্ক নাই
মিছে ভর্সনা রজনী পোহালো তাই
দর্শনে নেই বাহ্যিক স্বপ্ন গাঁথা
মুড়ালী প্রেমের সু্‌প্ত কথা-
মরণ তথায় শবেদাহ লাশের স'প
পতিতা উহারা আজন্ম নিখিল চুপ।

মানবাত্মা কবিতা
এসেছিল কবে গহন? অরন্য পথে-
মাংস চুম্বনে দিল ছোঁয়া কোন  রথে ?
কোথায় পালালো সেই ভর্সনা ?
দেখিনি মজিনি কি তবে পাওনা ?
মনে রাখিনি কি হয়েছে মোর ?
আকাশ পাতালে পেয়েছি খুন পাথর,
আর জাগেনি আরতো বলেনি কথা
লাশ কিনা দাহন ঝিলের ব্যাথা.
উপুরে মরিলো মরিচিকা বায়
তাচ্ছ্যিলতা বুকে বহে বাসুমায়।
৩২
মরে যায়নি তিনি কখনো নহে
মানবের মাঝে যেন বাঁচিবার চাহে,
উদয়াস্ত- নিবির ছায়া অরণ্যে-
থাকিবে জাগিয়া হাসি খেলার জন্যে
কার্তিকের ঘাস কখনো বা হয়
গাংচিলের মাছ ধরা প্রনয়
মাঝি মাল্লার পথের পড়ে রাখালী বেশে
নতুবা মেঘ রৌদ্দুর ধারা আবেশে,
বাঁচিবারে কর্মে ধরন বেলার সাথে
শ্যামল মায়া তারুণ্যপাত জোছনা রাতে।
৩৩
তাহার সংসার পুত্র কন্যা বধুয়া স্বজন আবেশে
পরহেরি আত্নার সাথে পাশে
ওখানে মায়াছায়া ভালবাসার গীত
দেনাপাওনার কাছে হেরেছে অতীত,
ব্যাদনা সাথী সিক্ত ভেজার মায়া
শান্তির দুয়ারে উজ্জল ছায়া,
ভুলেনা, ভুলিতে থাকা দায়
ধরনীতল হিমেল মাখা সঙ্গতায়,
উহাতেই শেষ স্বপ্ন বুনিবার সাধ
যুগান্তর পথে নক্ষত্র বাওয়া প্রভাত।

মানবাত্মা কবিতা
উজার করি মহাময় ধনরত্নাধি
দুস্ত' গরীব কাঙ্গালি মেয়ের শাদী,
দিলেম কিছু তাহাদের কাঙ্খিতে
মিটিবে তৃষ্ণা, মরণ নেশার সাথে।
অর্জন করে ধনভান্ডার সৎ আবেশে
কিছু রাখে বাকিটা পরের তাসে,
থাকে শূন্য, কিবা মূল্য মরণে
জবাব নাহী দিতে হবে ধনরত্নে,
আমল চাহি পূর্ণতা তাহাতেই
রুহু যাবে জবাব দিবে কবরেতেই।
২৯
সন্ত্রাসী হেথায় চির অভয়অরণ্য-
বুলেট প্রভায় রজনী পোহালো ধন্য
রক্ত পাষাণে লাশের মহুরী
মায়া নেই, প্রেমাতলে মঞ্জুরী
বিষন্নতায় দোলে সারাজাহান
চোখের বুলি বর্শায় মরে ম্লান,
সংসার নেই, সিক্ততায় গোপন পিয়াস
অবৈধ আবেশে দক্ষিণা সুভাস,
কবরে যায়নি লাশ, পথের ধারে-
শৃগাল কুকুড়ে মোচড়ায় উদরে।
৩০
চঞ্চল মন দৌড়ায় প্রেমের আবেশে-
নক্ষত্র রাজি বহতা গিতালী আশে
স্বপ্ন সাঁকোতে পাঁজর দোলে
বেদনা হীনা পল্লব নিশানা দ্বীলে,
যেতে পারি রাগিনী নারীর সাথে
জীবন তাসে মিলন মাখানো প্রভাতে
বৈরীভাব দূর করিয়া গমন,
আলো আশা নরনারী বাহুতল শ্রাবণ,
চলিছে কাল কুঞ্জ দিপালী জল
সুখদুখে একাকার হিমাদ্রী আঁচল।

মানবাত্মা কবিতা
কবিতায় কবি শব্দার্থে রং
অমূল্যে থাকিলো, হবে কিনা ঢং ?
বলিলো একটিবার সুযোগ চাহি
কাব্য আপনার প্রচারে মহি,
নাইবা দিলে নতুনদের স'ান করিয়া ?
সাহিত্যের জয় কেমনে হয় মরিয়া ?
মনোবল বুনি একটিবার হবেই জয়
নাইবা থাকিলুম এ ধরায়, তথাপি ক্ষয়
বুঝিবে সত্যি, এ চক্ষু দেখিবেনা তাহা
আপনা কবি মহাবর্ষে দর্শন স্পিহা।
২৬
দাও সামান্য অন্ন, আজি আপনারে
তৃষ্ণার্ত বুকে হাহাকার চুল্লি নড়ে,
কাঁপে হৃদয়, জীবন প্রনালী আবেশে
হাঁটিবো কত আর কোন আশে।
জুড়িয়া লই উদরখানি সিক্ততায়
বহু যুগলে শক্তিমর্ত্য দুনিয়ায়,
স্বপ্ন পূজারে হিমাদ্রী তাল বাওয়া
যাবোনা যেন অরুপ কাঠিতে ধাওয়া,
শুধু খেতে চাই আর নাহী চাহিলেম
ধরনী মোরে ক্ষমিও যাহাই পেলেম।
২৭
সর্বাদেহ রক্তাক্ত জামায় জড়ানো
লেলিহান বাসর শয্যায় বধুয়া তখনো,
ছিলনা কথা, এ কেমন মধুরতা,
লাশে হই আলিঙ্গন তথা।
মিটেনি আশা ভাঙ্গিলো বাসা
আসিলো ধেয়ে পাষাণপুরী নেশা,
মুছে গিয়াছে আলতা চুড়ি ফিতা
কয়নি কথা মুড়ালী দুঃখব্যাথা,
মরণি দর্শে ততোকি বর্ষে আর ?
আসিলো কি সেই বাসর মুছিতে রক্ত পাহাড়।

মানবাত্মা কবিতা
আমায় মেরো না, আপনার আহত প্রাণ
শুনিনি তোমাদের কর্মমুখী গান,
যে আলাপনে দেশান্তর জ্বলিয়া যায়
চূরমার হুলিয়া মানব রক্তের গায়।
আমার অভয় প্রাণ, ভয় পাইলো
কারণ, স্বজন আপনার অপহরণ হইলো,
করার নেই তথাপি ক্রন্দন মরে
কোথায় বিচার ওদের বাঁচিবার তরে ?
হায় ঘুমিয়েছিল হিমেল শীতে
শোনোনিকো চিৎকার? অবিচার চিত্যে।
২৩
বখাটের দল অকর্মা পাঞ্জেরী
রাগ বেশী বিপদ ধরে পন্থা চুরি,
ছেঁড়া জীবন যাযাবর জঞ্জাল
সমাজ হেরি উন্নত দ্বারে শৈবাল,
নষ্ট কথা তীব্র ব্যাথা অপরাহ্নে
পথে ঘাটে অশান্ত রুপ দ্রাহে।
পারেনি হতে ফিরে আসা
মন্দ কর্ম হেরি বাস্তব আশা,
থাক পড়ে মল মূত্রে ঘুমায়ে
জেগে দেখিলো তিনি কবরে শোয়ে।
২৪
কে তুমি চলিলে যেথায় যাও ?
ভাসমান, আপনারে নেবে কিনা নাও ?
চাহিনিতো ধনশালী আপনারে দাও
শুধু চাহি পথরেখা, দিশা দেখাও,
একটু তাঁকাও বারেক ফিরে
এই মানব আজ্ঞে দুয়ারে !
মরিতে চাহিনা তোমাতে কহি
সামান্য দিক নজর আপনাতে চাহি,
চলে যাবো দেখিতে দেখিবো একদিন
তুমি মোরে ভেবেছিলে সুদিন।

মানবাত্মা ।। Manobatta
ধরো এই হাত ওগো ললনা
পড়েছি যে পাথারে ভর্সনা
তোমারেই খুঁজিতে এলুম
অপরাহ্নে পিঞ্জর দলে পাইলুম,
আর যেওনা কো রাখিয়া আপনারে
অপর বেলায় কালবেলার তীরে
বাঁধো যতনে আত্ম চুঁমায়
স্বর্নালী মধুর আবছায়ায়,
যৌবন বাঁধানো নন্দিনী হিয়ায়
উত্তাল ঘর্ষণ খেয়ালী মায়ায়।
২০
ফুরালো জল পাঞ্জেরী গাঁথামালা
সাঁজন চুলচে অধির বেলা,
বনিবনা তাহাকি সাঙ্গ খেলা ?
হোঁচট জলে তরঙ্গ ভেলা।
সেই দিন আরতো সঙ্গেতে নাহী
মাধুরী পূর্ণতায়, পালিয়েছে কহি
নর নারী মিলন পূজারী কাল
রঙ্গেতে নাহী সেকেলের পাল,
শুধু থাকিলো মানবাত্নার চুয়ালী
অবাসর দোলে খাঁ খাঁ চৈতালী।
২১
থেমে গিয়াছে আপনার দোস্তানী
ধরনীর পথে বাঁচিবার আশা ম্লানী
থুবরে খায় রক্তমাংস দেহ
তিনিতো মানবাত্নার কেহ,
নিখিল ধারায় উহাই দেনাপাওনা
মানবে মানবের মুষ্টি চেতনা
খুন হয় রক্তাক্ত করে
স্বার্থ বড়, ভাইবেরাদর দূরে
সর্বদা আপনাতে মহিস্ব পাল
দুনিয়ায় বুকে তিনি শ্রেষ্ঠ দামাল।

মানবাত্মা ।। Manobatta
নত করো হে প্রভু ! তোমাতে আপনারে
আজ্ঞে দোলাও চাহিদা তোমার তরে,
কেন শোনেনা বারণ অকারণে ?
বিপথে চলে সদা অন্যমনে।
জ্ঞান দাও প্রভু প্রজ্জল গুহায়
যেন অর্পিত হই তোমারে পাওয়ায়।
অদিশাতে চূর্ণতা দাও
সব্যশাচিতে সুখ বিলাও,
একান্ত হবো যেন জন্মান্তরে
আমরণে পথ ধরে তোমারি সুরে।
১৭
উত্তাল মোরা উন্নত মম শির
কান্ডারি পিয়াসে খঞ্জর হাতে ভীড়,
দিগন্ত কোনে প্রলায়ন বাহু চুল্লি
অভয়ে আকার সাঁতার ডাঙ্গুলি
দূর করি হস্থ দিয়ে জখম খুন
হৃদয়ে পূজারী প্রেম, সফেত উনুন,
আশা নেই, নিরাশার কোলে-
কূয়েলিয়া রাতে, সুখ দোলে
সংসার বেড়ী দুঃখটায় প্রহার
ভালবাসার ফুলঝুরি সবাই সবার।
১৮
আমাতে আর রজনী পোহালোনা
জীবনে মাঝে স্বপ্ন এলোনা,
একটু দেবার মহা আর্শিবাদে
দেনা পাওনার সাথে বাধ সাধে,
হারিয়ে যায় রঙ্গ ললাট
সংসার আবেশে রুদ্ধ কপাট
পথ কিংবা পথিকের দোলনায়
কোন চেতনা জাগেনি আপনায়
দেখা দিবে কিনা? একটু পিয়াস,
আবহ সঙ্গনায় জীবন বাস।

মানবাত্মা ।। Manobatta
সেই দিন খোঁজে যাই
তবু কেন পাওয়া নাই ?
স্মৃতির কোঠরে কথা কাকুলি
মেঘের সাথে কেন হয় মামুলি ?
সেই ক্ষণ সেই স্থান
বুঝিনি কভু তার প্রতিদান,
মধুর স্বর্নালী ফ্রেমে বাঁধানো
পেতেম যদি আপনা তাহা কখনো
বুকের পাঁজরে আঁকড়ে বাঁধিতুম
আত্মার মুড়ালে বাসর করিতুম।
১৪
লেখে কিছু ছত্র ছায়ার চয়ণ-
ভাষার কথিকায় কিছু জীবন
সাঁজায় পান্ডুলিপি ভর্সনায়-
পাখি ডাকা ভোরে তিনি তথায়
আসে যাহা বুঝে তাহা-
স্বর্নালী পাঁজর প্রনালী উহা,
দুঃখ দানব বিরহ সুখ আঁকে
নদী পাঁড়ে তিনি একা কাউকে দেখে-
নীরব তিনি তাহাতে কাব্যিক ছবি
পোহালো রজনী তাহার, অনশনে দাবী।
১৫
নিষ্ঠা প্রনয়ে এগুতে তিনি-
সুখ বিলায় দাহন তলে যিনি
অন্যকে ভাবে আপনারে চুঁমে
কষ্ট পায় তিনি দাহন দমে,
পথে ঘুরে কেউ কী কাঁদে ?
সে কারণে বুকে বাঁধে
লও কে তুমি? তোমার চাহিদায়
কিছু অন্ন ছিল মোর, দিলেম তোমায়
আপনা যাই অন্যত্র হেথায়
দান করি তাহাদের দুঃখতায়।

মানবাত্মা ।। Manobatta
আহত প্রভা নেই খঞ্জরখানি
বাহু দানে উওাল জোয়ানী,
হারিয়ে গিয়াছে, মরিয়া তব দেহ তেজী
আরশী কূলে থাকিলো তাহা বুঝি ?
পথ আজি জানা নেই অকূল গোড়ে
মনে পড়ে কোথা ছিলুম কোন সুদূরে,
নাহী আর দিব্য প্রভা চল
গর্জে বাহু তামাতল সফল
শুনি শুধু সময় পেরিয়ে যায়
মরে দেহ আমরণে যেথায় ।
১১
পথ হারা ফানুষ কহে কথা
বিজলী ডাকি তোমায় ? দূর করো ব্যাথা
দাও দিশা মনে আশা
প্রহসন সেলামী রৌদ্দুর বাসা,
একটু করো সোহাগ মোরে
খোঁজে ফিরি তানানার গোড়ে
সংসার আজ্ঞে চাহিদার ধ্যান
রোজগার করি কোথা দিশারী বন
ভাবনায় মরি, তাই হতাশা তবু
আর কত এভাবে দিনাপাত নিভু্‌।
১২
আসিবে তাহারি প্রেম চুয়ে-
হিমাদ্রী পথে স্পর্শ দিয়ে
বেদনার বুলি আওরায়ে
এই পথে থাকিলুম তাই সয়ে,
প্রেমিক হায়! প্রেমায় জ্বলে
চুঁমে ছাই দিশা সাঁকো দোলে,
অন্নহীনা কত সময় হলো পার
মজিনু তবু উহাতেই অপার
আসেনি কাল কাব্যিক বরষায়
কবি মরে প্রেমায়, ধুম্ম যাতনায়।

মানবাত্মা ।। Manobatta
মায়াবতী ললনার দুয়ারে যায়
দেখে বলে; কেন কী রজনী পোহায় ?
আসনি, যেথায় আপনা ছিল
আঁধার নামিলো বাসনা পোড়েছিল,
দেখিয়াছিল চন্দ্রমল্লিকা তখন, হায়,
অদিব্য হৃদয় লেলিহান পূজায়
বুঝি এলোনা আর তোমা লগণ
আপনার দানব স্পর্শের শ্রাবণ,
যায় যায় আত্তার প্রেম চেতন
বিরহ ছন্দ দেদারব নীরব কূহন।
আসে যায় বসত গড়ে তোলে
তানপুরার বেসাদে রক্ত সোয়ালে
নীলাঁচল আবেশে ক্ষুধা, তৃষ্ণাবেড়ি,
সুখ কোথায়? থাকিলো কোথা তরী ?
আলো আসিতেই কত না তাড়াহুড়ি
জীবন তালাশে নিবির মহুরী,
দৌড়ায়ে চলে মন যথা তথা
ধন ভান্ডার আমারি থাক অব্যাথা,
মরণ চর যেন আর হয় না
মজিয়া পল্লব আজ্ঞে মনে জাগে না।
সিংহাসন দখল করো
রাজত্ব কায়েমে জখমের পথ ধরো,
তারারার পথে প্রভাবশালী
সাহসী দামাদল পূর্ণে বুলি,
নেই স্বজন প্রিতি দেনাধার
আমাদের মাঝে সোয়ারী পাথার-
লালচে আভায় গর্জন কূহে
দল ছত্রে নেমে যাও অগ্নিদহে,
পোড়ে দিব, ছাই হবে পাহাড়
ক্ষমতা আমারি অনন্ত দিব্য চূড়ার।

মানবাত্মা ।। Manobatta
একদিন এলুম কবে ?
তারপর বহিরাকূল ছোঁবে ?
সন্নাসী বাতায়ন বহে
আপনারে লইয়া যাবে কহে,
একাধারে দেখিলুম তথা
রূপান্তর ভেলায় ভাসে কথা,
রজনী আসে আলো নিভু নিভু
দুতারা তানপুরার গিতালী বাজে তবু,
সোনালী ফ্রেমে হিরার ছায়া
নীলাঁচলে কূহুতান মায়া ।
ছায়া পাতে সুনিবির মায়াতল
মারিতে পারে জানি দাবানল-
পোড়ে যাবে উহা ছাই হবে
তাজা প্রান তাজা দেহ ছোঁবে,
দ্বার খোঁলে যাবে পিঞ্জরাগে
সুরঙ্গ ঘুর্ণিতল মারিবে দাগে,
তবুও মায়া কায়া উজ্জ মহনায়
লুকিয়ে থাকে পল্লব রাজির গায়-
চিৎকার করিয়া বলে যায়
বাবেবার আসিবো জীবন সভ্যতায়।
চঞ্চল দুনিয়ায় দর্শে, তিনি হাসে-
পাতা পল্লবের আশে-
ছুটে চলে চাহিদার কাছে
মুড়ালী প্রেম ডিঙগার পিছে।
হোঁচট খায় রক্তাক্ত হয়
গায়ের জামার রুদ্ধ প্রনয়,
লুটায় তিনি তো পরাহত হলো কি ?
জীবনে কাছে বারেবার দেখি,
লাশের জিন্দা প্রলায়ন বাহু
কথা কয় তবুও কিছু কূহু।

মানবাত্মা ।। Manobatta
ঘুমিয়ে আছে অজানায়
তাহার আপন বিরম্বনায়
পেঁচার বুলি আওয়ারে
তারারার গহিন মহিস্ব দ্বারে-
অদিব্য নমুনায়
অহেরি পালঙ্ক যমুনায়,
অসূভন পিঞ্জর গাঁথা মালায়
দেখা অদেখার মহনায়,
নিথর কূয়েলিয়া মঞ্জুরি পিয়াসে
অর্ধমরণের যাচিত পিশে ।
ঝিলিমিলি বুকের সাথে বসা
সারা রজনীর আঁধার নেশা,
খর্গজে আকাশ পাতাল
ভূমিতে নিথর কূহেলী পাল-
আপনার কাছে নুইয়ে পড়ে
সামান্য অন্ন জলের তীরে।
যদি মিটিতো পিপাসা
আওরঙ্গ তানপুরার দশা
গীতিগানের সুরারোপে
বেহলা বিহঙ্গো রূপে ।
ছুটিলো তাসের বারাম পথ
অপথের দোসর রথ
কাঞ্চলবালা হুশিয়ারে
কোনদিন যখন যেভাবে ঘরে-
অচেনা গায়ের পরে
দহন লেলিহান তামাশার দূরে
জলমাতে জলস্নানের কথা
হুরিয়া পড়ে মেঘ দলে ব্যাথা-
সে কথা মনে রহে
চুপি চুপি আপনারে কহে।

আলো আঁধারে
নদীর কূলে বসি মহাযুগের পাতা উল্টায়ে
বৃন্দাবনের দামিনী দৌড়ায় রুদ্ধ পশলায়ে,
দেখিনা তাই কাননের কলি মায়া-
উঠিলোকি উজাটন বক্ষের দ্বারে, ছোঁয়ে কায়া ?
সময় নেই চলি তবে যথা পাই তথা
আত্মার শামে দোলহান দিব্য, সুখের গাঁথা
আমি আমারি শত যুগের পর অন্যথায়
ধূসর মেঘের আঁচলে মরা যৌবন যেথায়
দেখিনা শান্তির নিশানা উপুড় বায়ে পায়।
২৯
ভালবাসার কবিতাগুলো ভালবাসার জন্য আসে-
রক্তের রন্দ্র থেকে একাকারে মিশে মিশে
জানেনা তারা অন্যমুখি ঢের
স্বার্থবাঁধি কামনায় ভুলি কমল নেয় না অর্থকরি ফের-
জনম থাকে তাহার রুপকার রুপায়নে
বাসনি- ফুলের চারিধারে মর্মে গাঁথা লাল পিরানে।
যতদূর যাই দেখি আর্বে দু-জনার নিপানা
গর্জে বর্ষে ফুল মৌনতার ফাগুন মন্ত্রনা
সুখের সন্ধানে পিয়ানার প্রেম মনা।
৩০
বলিনি কভু আমায় মনে রাখো প্রিয়তমা
বাঁশরি করিয়া বৃথাই পালঙ্কে অঙ্গহানি কুমা,
জাত জুলুমাতে ফিঙ্গের ঢালে
পূজন কপলে চন্দ্রিমার তীলক ঢেলে,
বলিনি এই মঞ্চে তোমার কাঙ্খিতা-
তোমায় করিলো জোর ক্রন্দনের বাসুমতা,
শুধু কহি দেখিয়াছিলেম চেতনার পালে
আত্মায় পুষি তাই কি যেন কোন আরালে-
স্বপ্ন সাধের উলঙ্গ মন মাতালে।

আলো আঁধারে
আমারে পরাহত কেন দানবের গোড়ে ?
রক্ষা করো মোরে (প্রভু) করুণার ডোরে,
জ্যাতি ভৎসনায় পাকুকায় নাঁচালে-
ছবি মনায়, ছন্দে অভয়ে নির্ভিতের কোলে
দিও বাতাসের ছমকা তিল কাম লহরী
দিও শোকরানার বাতায়ন খোঁলে মুক্তপুরী।
থাকি যেন সদা জিন্দা ঘরবাসে
মানুষের মনুষত্বে আত্মার কারুকাজে মিশে,
মৃত্তিকার ভিতর ফুলকির পাশে।
২৬
তোমাদের কথা বলো আজি আজিকার
বদ নছিবের কূপে আঁধার কিংবা আলোকার,
সাগরের গর্জনে উঠা দিব্য কামশাপে
লাশ হওয়ার ধরুন ফতেকার ফুলকি ধাপে-
আগে পিছে ডানে বামে হুম হুমানলে
যাতনার দহনে দুঃখ সুখের নীলে,
বুকের ভিতরে যাহার নজরানা চুম্বন
সাধুতায় পাথর চুল্লির পাশে যৌবন-
দিব আমি, দাও তবেই হবে রৌমন।
২৭
এসো করি খেলা মাতোবনের দুয়ারে
জল মেলার আবেশে সঙ্গ সঙ্গির চৌধারে,
বৈশাখি বায়ে শ্রাবনের ঢালা বিচালে
মন ছন্দে মাতাল, পল্লীর কেতন দলে।
এসো করি স্পর্শবেলী লগ্নতার বাহিরে
সমপন কাননে কুসুম কলির ভিতরে,
বৃষ্টির দেনাপাওনা সন্ধামালতীর চোখের পাতায়
ভাললাগার দুপাতা পল্লবের সুপ্ত বাসনায়
আলিঙ্গন মধুর তির্থে যাযাবর রহমায়।

আলো আঁধারে
নারী তোমাদের তরে খেয়া পালকি
নছিবের দুয়ারে হানে পৃথিবীর শানকি,
খুঁলিয়া দেখো তাহা? পাবে অমূল্য রতন
জামিন নামার শানে রত্ন পাথু চুম্বন।
দিল রাগ লহরী ধুমকেতুর পায়ে নূপুর জোড়া
চৌধারে তোমার সম্মানে অতল পয়রা,
ভাললাগার দেয়ালে তাম্মলিপির চেহারা
লুকিয়ে রেখ জন্মান্তরে পাবে মান মনিরা,
জপমালার জাতি উচ্চে, শুধু তোমরা।
২৩
বারেবারে বাঁধা পড়ি পয়রার নিগাঢ়ে
বিকুন্ঠ কাননে দেখি খেলা ঘর মুছড়ে,
বাতিখানি নিভিয়া সাম্য ভৌমিক নিপাতে
দেখিনা সম্ভল আমার ছিল রক্তের সাথে।
নজর চলে যায় নজরানায় দোলনার নিচে
কাফনে ধরা কুৎসিত মনিকা কী কভু বাঁচে?
যেতে হবে ফেরা নেই, কে ঠেকায়?
রোদন খেলার সামিয়ানা উড়ে নগ্নতার গায়,
থেকে যেতে কাঁদিয়া উঠে প্রাণ অসহায়।
২৪
শক্ত করে ধরো মোরে যে না পড়ে যাই
আঘাত কেমন? বুঝিনি হায় তবুও যেতে যথাই
ডাক পড়েছে ইশারা করেছে এখন যাবার বেলা
হিন্দোল বনে পাষাণ পিরাহা যৌবনে লাগে ফলা,
আশা নেই চলিয়া ওপার দেহ ফেলিয়া
সাক্ষী হাজির নজরানা বায় জীবন আবার জাগিয়া,
কে জাগায় কে সম্মুখে উন্নত শির মনি?
দুনিয়া কোথায় কোন সে নাটায় বহুরুপি গ্লানি?
সমেহার সত্য আজি তাহা রপ্ত অনন্ত বাণী।

যাও পাখি অবহেলার পাখনা উজ্জ করে
আত্মনাদের দুয়ারে অনলে পোড়ে।
জমিন ছারখার পৃথিবীর দাউ দাউয়ে
পোড়ে হিঃসা পোড়ে হৃদয় হৃদয়ে,
তাঁকিওনা কভু আর পিছে মান্যতায়
তাও আর থাকিবেনা চিহ্ন জন্ম হায়।
স্বপ্নের ধূলি রাঙা তন্দ্রার কাওয়ালি
যামিনী দূরে আলোক প্রভা র‌্যালি
গুপ্ত হতাশার বারামে চিত্য মরে দুলি।
                                                                      ২০   তারিখ ও সময়:- ০৭/০৩/২০১০,  ২২-০৫
থৈ থৈ যামিনী কূয়াশায় লুটেরা-
নিত্য পায়ে নাগরদোলা সাঙ্গ পোড়া
হুতুম পেঁচা ডাকে কূয়েলিয়া
রৌদ্র কিয়াণে মঞ্জুরি কাঁপে সাম্যতার হিয়া-
বাতায়ন তাসে কাফন পড়ানো তির্থে পয়া
ভোরের উঠোনে তাজা লাশের ছায়া।
মিশে গিয়াছে কামিনী নগ্নতার সীমায়
চুম্বন দেই ললাটে, তার গুপ্তনায়-
দিশা দিয়েছে যিনি ফানুষের রক্ততায়।
২১ 
দিনাপাতে মেহতান চোখের কামড়
চোখে ভাসে পুরীহা আকাশে জ্বলে দোসর !
মৃত্তিকার আঁকড়ে এই মেঘালয় বঙ্গ
বাঁধি লই বাতাসের চুম্বন কতনা রঙ্গ,
ছুটে চলা ঐ শ্যামল ছায়া নিবির-
পূলকিত শ্রাবণে হিন্দোল ঢাকা সুনিবির
ঝাপসা পিয়ানো রাগ লহরী কেকা বায়
মাঝি মাল্লার সুরে উজাটন মন বায়নায়,
স্বপ্ন দেখার সময় উহা, সুখের নেশায়।

sislam8405

{Facebook#https://www.facebook.com}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget