এই
ফাগুনের মেলে
কোকিলের ডাক
কূহে
বর্ণিল
সমীরণা কুঞ্জালি
কোলে রহে
আমি
খুঁজিয়া পাই
দামাদলের হিমাদ্রী
ফুলের
আবরণে ডাকা
সমূদ্র বাওয়া
নদী,
হিজলের
বাঁকে সন্ধামালতীর
সুখ পিয়ানা
দেখি
আমি ভাললাগার
ডাঙ্গুলি মনা-
লালে
লাল গোলাপের
ভিতর নারীর
পদ্দাধির
মেহতানে
আঁকা সিক্ততার
ফূল ঝুরিতে
ভীড়।
এখানে
নদীয়ায় কলতার
বেলী ফুলের
ঢেউ
তিতাসের
বুকে স্নান
করে নারীর
বক্ষ তেউ-
দোলমানে
যাযাবর চৈতিকার
দর্শনে দুনিয়া
ফেউ।
দোলমানে যাযাবর
চৈতিকার দর্শনে দুনিয়া
ফেউ।
১১
আছে
তটিনি রঙ্গিন
আভায় ভিন্ন
ফালুকা
দুপায়ে
ভর করে
চলে তাহা
দেখা
রঙ্গে
সাধিনু বাতি
ঘরে মন
জঠর কণিকা
যমুনার
বুকে ঘুম
পাড়ানো কোকিলের
কেঁকা,
নারিকেলের
ছটায় টিনের
চালে ধুম
ধুম পিনা
রীতি
নীতির বালিকার
কেশর দমিনা,
ঝাউ
বনে ফিঙ্গের
কাওয়া
মরুতল
নিশ্চুপ ঝরনার
জলে, তব
রুপ ছায়া
দেখা
নেই অনুভবে
আলতা রাঙা
জোছনা
কূলে সমীরণ
রেখা ঘুম
সকলে ভাঙা-
ভোরের
দ্বারে নিশ্চুপ
পার শব্দ
সাঙ্গা।
১২
এই
পদ্দার পাঁড়ে
ঘুমিয়ে পড়ি
অহরহ
কাগজের
নৌকায় পা
খানি মেলিয়া
রহ ,
গানের
মাতালে ভাটিয়ালি
সুর
ছড়িয়ে
যায় অদূর
দূরান্তে নয়ন
বহুদূর
ছমছম
হিম বাওয়া
ইলিশের কাওয়ালি
মাতয়ালি
প্রেখম নাঁচন
শরীরে তব
র্যালি,
চলে
যাওয়া নিশানায়
ভর করিয়া
দেহ
ভেজাই আত্মার
জলে ডুবিয়া-
তরুলতা
বাহুবান বালুর
দুয়ারে
ছবি
আঁকা ওখানে
ঢাগর চোখের
ভিতরে,
বাঁচিবার
যাই নীল
কুমতায় শয়ন
বাঁধিবারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন