দখিনের বাতাসে মিশে আছে নারগিছ-
ফুলের চঞ্চলা রুমঝুম আকর্ষণ,
সন্ধামালতী দিয়ে যায় অসীম-
দূরত্বকে কাছে নেওয়ার স্বপ্ন আশার শয়ণ,
নীরবতার মাঝে কোকিলের কূহু কূহু
সুরেলা গানে মনে উল্লাস আসে,
ভাবনায় জাগে কে যেন হাত ইশারায় ডাকে
তাঁকিয়ে তবুও দেখেনা কে আছে পাশে,
মন খারাপ হওয়াার কোন বিবর্ণ রং
চারিপাশে দেখা যায়না,
তবুও তাহার নীরবতা রয়ে গেল,
দোলা লাগিলো না তাহার মনে,
কোন প্রশান্তির পরশ বেয়ে
তাহার নয়ন দেখেনি চাহিয়া
বাহির পানে কি উজ্জলিত,
কে তাহারে বরণ করিতে প্রস্তুত,
তবুও নীরব দেহ, এক বিশেষ-
ভঙ্গিমায় অন্য পানে দৃষ্টি রাখিলো
কোন শব্দ তাহারে অন্য পানে
ফিরে আনিতে পারিলো না,
পা দু-খানি হাঁটতেছে
মনে হয় কেউ জোর করে ধাক্কাচ্ছে
তবুও পাল্টা বাধার চেষ্টা করিলোনা
মশামাছি গুলো চামরার উপর প্রলেপের-
মত জড়িয়ে আছে
তবুও হাত নড়েনি তাহার
কেউতো বেঁধে রাখেনি হস্তদ্বয় ।
এই বর্ণনায় আবদ্ধ পদার্থটি কি ?
কোন মানুষ হতে পারে ?
আমার মতে মানুষ নয়
হয়তো ছিল কোন এক বিশেষ মহিমায়
তাহার বাহ্যিক ভিতরের গঠন ঠিকই আছে
কিন্তু ভাব ভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে
সে কখন খায় ঘুমায় ?
আমার চোখের দেখায় পড়েনি
তাহলে কিভাবে দেহে কার্য চলে ?
নাক মুখ চোখ হাত পা মাথা পেট
সবই ঠিক আছে
তবুও সে কেন তাহার অস্তিত্ব
প্রকাশনে রুপ দেয়না ?
তাইতো তাহারে আমি মানুষ বলিতে অনিহা
জীবন এ সে আছে কিনা, নয়তো অনড় পদার্থ।
তারিখ ও সময়:- ০১-০২-২০০৬, ২৩-৪০
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন