সবুজ চাদরের মাঝে লাল বৃত্তের আশায় ।। Sobuj Cadorer Majhe Lal Bretter Aashay ।। বাংলা কবিতা ।। Bangla Poem

কবিওকবিতা
সবুজ চাদরের মাঝে লাল বৃত্তের আশায়  
গীতিকার একখানি গান রচনা করিলো
সুরকার তাহা সুরে রাঙাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়িলো
কিছুকেই সুর আর সুরের রুপে হচ্ছে না
মিউজিকের কমতি ছিল না
তবুও গানটি মনের মত হলনা ।
শিল্পির কন্ঠে গানের বিকৃতি রুপ-
মানুষের মন নাড়াতে পারিলোনা।
গানের কথাগুলোর কোন অর্থ-
কেউকি খোঁজে পেয়েছে ?
আমার মনে অনেক সন্দেহ হল !
সুরকার সুর সম্পর্কে কোন ধারণা-
রাখিয়াছে কিনা জানি না ?
হয়তো তিনি সরকারী নিয়োগ প্রাপ্ত সুরকার !
ছিল না কোন যোগ্যতার মাপকাঠি।
আর যিনি লিখিয়াছে গান-
তিনি মনে হয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধি,
বর্ণ অক্ষরগুলো সঠিক ভাবে
খাতার পাতায় বসাননি,
তাই বিকৃতি শব্দ উচ্চারণ হয়েছিল
যার কারণে গান আর গান থাকিলো না
ধিক্কার বাণীতে পরিণত হল।

স্বাধীনতা কথার অর্থ জানেন কি ?
হয়তো আমি ক্ষুদ্র পরিসরে জানি, কিন্তু
আপনাদের কারো ভালো ভাবে জানার কথা।
অনেক মুক্তিসেনা আজও বেঁচে আছে
তারা হানাদার দলের মাথা নত দেখেছে,
দূর থেকে রেড়িওতে শুনেছে।
মুক্তিকামি মানুষগুলোর অনেকেরই-
পূর্বে বন্দুক চালানোর যোগ্যতা ছিলনা
তাদের যোগ্যতার চেয়ে মনের সাহস-
লক্ষ গুণে বেশী ছিল,
চোখে ছিল আলো ঝলমল
যার দ্বারা অন্ধকার মারিয়ে নিত।

কিন্তু সুরকারের না আছে গিটারের ধারণা
না আছে গানের রং ঢং জানা,
তবুও তিনি উচ্চ পদের সুরকার,
কিবা আশা করা যায় তার থেকে ?
বরং সঙ্গিত রক্ষা করা হবে কঠিন।

কেউ মুক্তির জন্য যুদ্ধ করে হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা,
কেউ মুক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়ে হয়েছে মুক্তিসেনা।
সবার গায়ের রক্ত লাল,
কেমনে চেনা যায় ?
তবুও বাংলার বুক স্বাধীনতা পেয়েছিল।
আমি পড়েছি, বইয়ের পাতায় পাতায় লেখা আছে,
পুরানো মানুষের কথা থেকে জেনেছি,
যার প্রতিফলে দিপ্তমান হয়েছে-
মুক্তিসেনাদের ঘরে আজ অনাহারির-
সারি সারি দুঃখ তলা;
টিনের থালা হাতে দূয়ারে দূয়ারে-
এ কেমন হাটা চলা।

আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগে নাকি ?
জাগিতে নাহি পারে, কারণ-
আপনি যদি অন্ধ গীতিকার হয়ে-
এলোমেলো বর্ণে সাজানো গান লেখেন
তাহলে তাহা স্বাভাবিক সম্ভব-
হয়েছে বাংলায় স্বাধীনতা আনা।
আমার চোখে এখনো সবুজের-
সুবিশাল চাদর নজরে পড়েনি,
লাল বৃত্ত কিভাবে আসিবে ?

আপনি কি দেখেছেন মুক্ত মনে-
সবুজের ভিতরে লাল বৃত্তসহ পতাকা-
উল্লাসিত ভাবে উড়তে ?
হয়তো দেখেছেন , যদি আপনার না দেখেও 
দেখার যোগ্যতা থাকে।
নয় মাস কেন ? এই বাংলার মাটিতে-
নয় দিনে স্বাধীনতা আনা যেত,
যদি না থাকিতো তারা, বর্তমানে যাদের 
অনেকেই মুক্তিযুদ্ধা দলে নাম লেখানো।
উঁচু উঁচু দালান কোটা
উপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে
যে সময় লাগে, গরিবদের তিন বেলা-
খাবার খেতেও তার কম সময় লাগে।
বয়স বেটার পঁয়ত্রিশ ছুঁই ছুঁই
অথচ তিনি নাকি ছিলেন
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান নেতা।
বিশ্বাস করিতেই হয়,
বিধাতার অনিয়মে সে যদি কখনও
মায়ের গর্ভে থেকেই বিশ বছরের-
দেহ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে,
তাহলে তাহা স্বাভাবিক সম্ভব।
পরীক্ষায় পাসের সনদে লেখা আছে
তিনি নাকি ৩০শে ফেব্র্রুয়ারীতে জন্ম নেয়।

তারিখ ও সময়:- ০৩-০২-২০০৬,  ১০/২৮         

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger]

sislam8405

{Facebook#https://www.facebook.com}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget