আমারে পরাহত কেন দানবের গোড়ে ?
রক্ষা করো মোরে (প্রভু) করুণার ডোরে,
জ্যাতি ভৎসনায় পাকুকায় নাঁচালে-
ছবি মনায়, ছন্দে অভয়ে নির্ভিতের কোলে
দিও বাতাসের ছমকা তিল কাম লহরী
দিও শোকরানার বাতায়ন খোঁলে মুক্তপুরী।
থাকি যেন সদা জিন্দা ঘরবাসে
মানুষের মনুষত্বে আত্মার কারুকাজে মিশে,
মৃত্তিকার ভিতর ফুলকির পাশে।
২৬
তোমাদের কথা বলো আজি আজিকার
বদ নছিবের কূপে আঁধার কিংবা আলোকার,
সাগরের গর্জনে উঠা দিব্য কামশাপে
লাশ হওয়ার ধরুন ফতেকার ফুলকি ধাপে-
আগে পিছে ডানে বামে হুম হুমানলে
যাতনার দহনে দুঃখ সুখের নীলে,
বুকের ভিতরে যাহার নজরানা চুম্বন
সাধুতায় পাথর চুল্লির পাশে যৌবন-
দিব আমি, দাও তবেই হবে রৌমন।
২৭
এসো করি খেলা মাতোবনের দুয়ারে
জল মেলার আবেশে সঙ্গ সঙ্গির চৌধারে,
বৈশাখি বায়ে শ্রাবনের ঢালা বিচালে
মন ছন্দে মাতাল, পল্লীর কেতন দলে।
এসো করি স্পর্শবেলী লগ্নতার বাহিরে
সমপন কাননে কুসুম কলির ভিতরে,
বৃষ্টির দেনাপাওনা সন্ধামালতীর চোখের পাতায়
ভাললাগার দুপাতা পল্লবের সুপ্ত বাসনায়
আলিঙ্গন মধুর তির্থে যাযাবর রহমায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন