যাও তবে বৃত্তের বাহিরে যথাকার তব নীড়ে
মহাকালের রবে আপনারে ফিতায় বাঁধি মারে,
মর মর তোলরামে বংশি দামের নিপে
বাল্যভূমির নাগালে তুমি যাও অন্য ধাপে।
জঙ্গল কাঁদিবে গহিন অরণ্যে
তপজানু স্রোত বালুর ধারায় মরণের জন্যে,
থাকি তথাই তোমা দূরে অশান্তনায়
যজ্ঞের মূলে যতিকা দামি ক্ষুদ্র কামনায়-
চাহিয়া পন্থের পানে যৌবন ঘুমায়।
১৭
ত্রিশটি পদ্দের স্নানে তোমায় জাগিয়ে রাখি-
সৃজন পূজন তন্দ্রায় আগলে ডাকি,
ঘুমিয়ে থাকার সুপ্ত চেহারা
আমি তাঁকিয়ে দেখি মরু চোখে সাহারা
ভিজে দেই ফুল দানিটা আঁকড়ে-
বৃষ্টির বুকে প্রেমের ছায়া চুপিসারে
রক্ত রাঙা বুকে তৃষ্ণার জল আকুতি
সময় ফুরায়না পথের নিনতি
ফিরে পাবার বাসনায় উম্মাদ চিত্য তিথি।
১৮
হাঁটতে হয় এতদূর আর পারি না-
পঁচিশটি বৎসর শেষ তবুও ফুরায় না
দামিনী ফুলকি রসানো তালাশে-
হারিয়ে ফেলি অন্য সবই কোন জুলুসে,
কত নদী মহনায় জলাধার সাক্ষীর নিপাতা
ফুল পরীর অন্য কাঙ্খিত মরণের চিতা।
সে কত না কেঁদে ব্যাকুল আমার পাশে
দিবারে পারেনি চৈতালী হাওয়ার আবেশে
রিক্ততার দুয়ারে পূর্ণতার সমীরণ পুষে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন