দেখিতে পাই রত্ন মানিক বহুবার সায়
কে দিল? কোথা থেকে এলো উহা ?
বঙ্গেই জন্ম বিশাল শ্যামে স্রষ্টাই জানে তাহা,
ছায়াঘেরা পাখির গানে যমুনার দোলনা
শীতল পাটিতে দেহ ধরাই যাওয়া তো যায় না-
কোথায় পাবো? কভুতো নেই অন্যথায় খুঁজিয়া
বাংলার রুপ বাংলায় থাকে মজিয়া
জ্যাতি খামে তীলত্বোমা গায়ে রাখি বন্ধন
জনম জনম উজ্জ রাখি যৌবন
এই মৃত্তিকার সাথে সুখে দুখে সৌভন।
১৪
মেঘের কোলে মেঘের ধরা ভেজা খাতার পাতা
মাতোয়ালি মন ছুটে চলে দেখিতে শ্যামগাঁথা
কোথা আবরণ, আষাঢ়ের গল্প বলার সময়
আসর বসেছে সন্ধাকূলে দামিনী কাল প্রনয়-
সকল ফেলিয়া সবের মজমা আসুপায়
ছেলে বুড়ো মাতন দোলায় গানের কিচ্ছা গায়
জোছনার প্রেমে দুঃখের কথায় চক্ষু ছলছল
গোমটার আরালে কেউতো হাসে ঝলমল,
ভাওয়ালি গীত বায়োলিনের সুর সোপানে
রজনী দ্বি-প্রহর ফুরায়না তবু লেগেছে প্রাণে প্রাণে
উম্মাদনার ঘরে জলসা বঙ্গকামি জীবনে।
১৫
জাগিওনা মা আমায়, মোর ঘুমিবার সময়,
এই বেলায় শিশির সাম্যে অময়
শিহরণ ঘাসের বুকে বুলিতে সায়
শান্তির দুয়ারে আলোক প্রভা নায়,
মৌনতার রেখাপাতে মৌ মৌ গন্ধের বাও
কেবলই আমার আপনায় জীবন- নাও।
আমার খেলা আর্বে সুখ পিয়াসের মালা
বুকে আঁকি জনমবার আত্মার নিগাঢ়ে ঢালা
সুখের ছায়াপাতে ভালবাসার কাব্য মঞ্চিতা
প্রেমের এক রক্তাক্ত ফলশ্রতির রঙ্গিন পাতা
আঁকা থাকিবে জানি, প্রনয়ে জ্বলেনা সেথা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন