রোগ শয্যায় কাতর দু-পায়ে বেড়ি-
চলেনা তো সিঁড়ি চঞ্চলার সোয়ারি,
মাঝ পথে কামনার ঝুলি খোঁলা
তাঁকিয়ে দেখি ঐরাবতের মেলা।
রাজা নেই রাজত্ব কোথায় হারায়
চাল নেই চুলা জলে ডুবে যায়,
হঃসের সাথে ললিতা ত্রুন্দনায়
শক্তিহীন ভঙ্গুর দেহ কাফন ধামনায়
ঘুমিয়ে থাকে অনন্তকাল নীরবতায়।
১১
তারুণ্য দলে হিমশিখা বাহুবিল্লার শান
হিমাদ্রী বাওয়া তরুলতা শ্লোগান,
জমিনের ফরমান উন্নত শিরে ধাবমান
চলি অকুতোভয়ে লালে লাল অভিযান
এঁকে দেই পদভাড় পাষাণ বেদিতায়
ললাটে হিম্মতের বুলি যথা তথায়,
দেখি স্বপ্নের বুনিয়াত জিঞ্জিরার গায়-
চলে মাঝি মাল্লার নৌকা সুরতায়
উল্লাসে বাহু ধরি পাল আগুপাথায়।
১২
বহুবার শুনি ভুলিবার নহে মধুতা-
বাল্যসখা চোখের দিপ্তমনি সবিতা,
ধরি তাসের কোলে স্বল্পিতা
পৃথিবীর বুকে তাহার রুপ রহে মগ্নতা
প্রেম বাড়ে, ক্রমে ধীর দুরন্ত ফনা
আত্মায় লাগে কূয়েলিকার দোসর পিনা।
জাত জাতিকায় মনিহার রঞ্জু কণা
বাদলের দিনে দিব তাহারে সম্মানা-
শিউলি তলায় আর্বে বিছানো প্রেম দেনা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন