2017

কবির মন
.
আমি কঠিনিয়ায়,
ফুলকে আমি ফুলের মত জানি না,
তার থেকে গন্ধ নেবার আশা পোষণ করি না,
তাকে আমি প্রশংসায় বসাই না;
একটু জলের আশা আমার কাম্য নয়,
মাঠের পরে কতনা জলের ছড়াছড়ি
ওরা আমায় ঘর্সণে কঠিন বানিয়েছে,
পরাণটা  কঠিনের কঠিন, নরমের ঠাঁই নাই ।

২৯. আমি নেতা,
জনগণের ভোটে নির্বাচিত তুখোড় নেতা,
আমার আছে বড় বড় কথা বলার অভ্যেস,
কাজের কাজে আমি সদাই পাজি;
টাকার ওপরে আমি ঘুমাই, থুঁ থুঁ দেই-
গরিবের খাবার থালায়,
ওরা তবুও আমায় নেতা বলতেই থাকে,
তখন আমার খুশি দেখে কে !

৩০. আমি ছাত্রদলে,
নজরুলের রণ সঙ্গিতের সুরে আমি বাঁধা,
উতাল পাতালে স্বর্গ মাতালে আমি তৈরি হচ্ছি
তাঁর এক একটা বাহুর সনে;
আমার দুহাতে আছে শক্তি বুকে বল,
আছে চিন-া চেতনায় পথের দিশা,
আছে অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য গঠিত
একদল সত্যের পথে থাকা ছাত্রদল।

কবির মন
আমি শৈশবে,
আমি হাফ প্যান্ট পড়া খালি গায়ে থাকা হালকা পাতলা ছেলে,
না আছে শীতের কাপড় জড়াবার সামর্থ
না আছে ভালো খেতে পাবার আশায় মায়ের দৌড়ে ছুঁটে চলা;
যাই আসি স্কুলে, স্কুলে তো নয়, যাই বই খাতা রেখে অন্য কোথাও,
আবার ফিরি ছুটির ঠিক সময়ে,
একবারও তো ভাবিনা কতটা ক্ষতি আমার করছি ?
অতঃপর মা বসে আছেন আমার আশায় ।

২৬. আমি কিশোর,
আমার ছোট ছোট হাত পাগুলো ক্‌্রমেই বড় হচ্ছে,
মনে হচ্ছে আমি কিছু করতে পারব,
অবুঝের মত তাঁকিয়ে থাকা কাল পেরিয়ে গেছে;
লেংটা থাকাটা এখন একদমই হয় না,
চোখে লাজের ভাবটা অনেক বেড়েছে,
সম বয়সি মেয়েদের দিকে তাঁকিয়ে থাকা,
তাদের নিয়ে কিছু নতুন ভাবনা দমানো যাচ্ছে না ।

২৭. আমি পিপাসিত,
নয় তা গ্লাস জলের জন্য,
যেন বুকটা দাউ দাউ করছে চৌচিরে,
এখনি থেমে যাবে জীবনের সব চাওয়া পাওয়া;
একটা সভ্য সমাজের জন্য পিপাসিত,
যেখানে সকল মানুষেরা থাকবে তৃপ্তিতে,
সকালের আলোর মত জীবন ভরে যাবে সুখে,
মাঠে ঘাটে মানুষের জয় জয়কার ।

কবির মন

আমি দামিনী,
সকালের বুকে আলোর ঝলক বাতি দিতে আঁকি-
স্বপ্নে সাঁকো, দুপুর পেরিয়ে অতঃপর হয় বিকেল,
করি রচনা রাত্রীর অন্ধকার দূর;
একদিন কালে স্বপ্ন দেখি,
থাকবে না কোন ভয়াভয় এই সমাজ-
সংসারের বুকে ব্যর্থ মরণায়,
আমি তথাই একক রুপে বিদুৎতায়িত ।


২৩. আমি জয়,
খেলি খোলাসায়, জয়ের মাতনে যেতে রাজি-
সুদূর মৃত্যুপুরীর রাজ্যে, বাজাই গীতি,
একখন্ড বেঁচে থাকার সাহসী জয়গানে;
পুতুল নাঁচে আমি মজি নাকো,
দূর্বল আশার টানে অবশেষে কিনা শূণ্য হাতে-
ফিরতে হবে মায়ের কাছে,
নাহ্‌ ! আমি সর্বদাই জয়ে।!

২৪. আমি ঝড়,
সারা পৃথিবী জুড়ে আমার ছায়া কায়া ছুটে বেড়ায়-
দিক থেকে দিগন্তে, খেলি তান্ডবের খেলা বাতাস ও পানির সাথে,
ভাঙ্গি ঘর ভাঙ্গি পৃথিবীর কোষাক্ত রস;
এই সব সেই সবে আমার খেলাতল সকল উথলে দেয়,
আনি শান্তির ফরমান, নয় তা মিছে ভরসার ক’খন্ড
ব্যর্থ পাথরের আঘাত,
যেখানে কান্না দিয়ে শুরু, শেষটা জানা নেই।


কবিওকবিতা
দেওয়ার পরে চাওয়ার মাঝে স্বার্থকতা নেই
বরং তাহা থাকে ত্যাগের মাঝে,
সৃষ্টি পথ বেয়ে ঝুলে থাকে
ললাটে থাকলে কেউ না ফেরাতে পারে।

আমার ভালবাসা দৃশ্যায়মান কিছু চায়নি
তবুও সুখের বাসর জলাঞ্জলি দিয়ে-
বেদনার নৌকায় পাল তুলেছি।
আমি সুখগুলো দু-হাতে উড়িয়ে-
দুঃখের সাথে মিতালী করি,
আমি ভালবাসা পাওয়ার জন্য-
আগুনের পথ পেরিয়ে যাই,
কিন্তু পোড়াতে চাইনা।

ভোরে উঠে বকুল ফুলের মালা গাঁথি
ফুল দানিতে তাহা রেখে দেই-
অপেক্ষায় বেলা পেরিয়ে যায়,
ফুলের পাঁপড়িগুলো শুকিয়ে যায়
কন্যার আগমন তবুও হয় না।
আমার কোন অভিমান নেই,
নয়তো তাহার কাছে জবাব চাইতাম
মুছে নিতাম বিরহ প্রেমের ছোঁয়া,
প্রেম থাকুক প্রেমের জায়গায়
দুঃখ পাবো তবুও না প্রকাশ করিবো
আমার পাওনা আমার প্রাপ্প
কেউনা তাহার স্পর্শে আসুক।
আমি কাগজের নৌকার মত-
নদীর জলে ভেসে যাবো,
তবুও না কাউকে সাথে নিবো
ভালবাসা আমায় কি দিল ?
আমি তাহার খবর রাখিনা,
বরং ভালবাসা পাওয়ার জন্য-
কি করিলাম, কি করিবো তাই প্রধান।
ভালবাসার জন্য প্রিয়ার চোখের-
জল পড়িলো কিনা? তাহা দেখিবো না,
আমার হৃদয়ে তাহার জন্য-
কি পরিমান ভালবাসা আছে
তাহার বিশালতা উচ্চ দ্বারে নিবো।
আমি আমার তালে প্রেমের-
সাগরে হাবুডুবুতে ব্যাস্ত,
তোমাকে নিয়ে ভাবতে থাকি
মনে হয় তুমি কাছে আছো,
অথচ সবই কাল্পনিক
তাতে কিবা হবে ক্ষতি ?
লাভের হিসেবে কভু প্রেম হয়না
তাহা অজানা পথের মাঝে-
খোঁজে নিতে হয়।
                                তারিখ ও সময়:- ৩০-০৩-২০০৬,   ১৮/৪০


কবিওকবিতা
    ছিন্ন পাতা তরুর ঢালে লাগালে, 
তাহা কেউ কাউকে আপন করে নেয়না,
যদিও বিচ্ছেদ পূর্বে তাহারা ছিল-
স্পর্শক একই অঙ্গে মাখা।
কোন এক ঝড়ে তাহারা উভয়-
উভয়কে হারিয়ে পথের ময়লা।
আমি কোন ঝড়ের আভাস পাইনি,
দেখিনি দখিনের জানালা মেলিয়া-
কোথাও কোন কুয়াশার চাদর,
তবুও আমার ঘরের দরজা ভেঙে গেছে
হারিয়ে গেছে দেহের অঙ্গ।
আমার নয়ন খানি অনলে গড়া
যে পানে চাহিয়া থাকে,
তাহার উপর বজ্রপাত লাগে
ধ্বংস হয়ে যায় সেই মহনা।
ভ্রমর যায় ফুলের কাছে
কাঙ্খিত পাওয়ার টানে,
ফিরে আসে স্বার্থক ভাবে।
আমার রজনী পোহালো
তবুও পথের দিশা অজানা
আমার ছায়া যেখানে পড়ে
সেই আঙ্গিনায় জলোস্রোতের মত-
নোঙ্গরের টানে বিলিন হয়ে যায়।
কেউ আমায় বুঝেনা
তাইতো জীবনের ভেলা নীল
আগুনে পোড়ে ছাড়খাড়।
                              তারিখ ও সময়:- ৩০-০৩-২০০৬,  ১৬/৩৫

কবিওকবিতা
বৃষ্টির সাথে আমি খেলায় মেতেছি,
মেঘলা আকাশে আমি নজর রেখেছি,
শীতের কূয়াশায় আমার দেহ-
শীতল পরশে বারেবার ভিজিয়েছি,
চৈতালী প্রবাহে আমি ভেসে গিয়েছি,
বসন্তের বাসরিতে ফুলমেলা অরণ্যে-
আমি সুভাস ছুঁয়েছি।
কিন্তু সবই যেন কেমন অর্ধাঙ্গীনি,
পূর্ণতায় পাওয়া যায়না ।
হৃদয় কি চায় কোথায় যায় ?
কাহার চাওয়া পাওয়া বুঝে ?
অচিন গাঁয়ে যে নারীর দেখা-
আমি চোখের দেখায় দেখেছিলাম,
যাহারে আমি ফুল সজ্জার মাঝে
ভালবাসার স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম
তাহার মাঝে জীবনের সবই ছিল
আমায় দিতে সে কাপূর্ণ করেনি,
তাহার কালো নয়ন তারা-
আমায় আধাঁরে আলো দেখায়।
আমি জোছনা রাতে মাঠের পড়ে-
যেখানে সীমান্ত ঠেকেছে-
আমি সেই অবস্থানে ছুটে যাই,
দেখিবারে তাহার মায়া ভরা মুখ।
ঐ লাজুক লতা দোলনচাঁপা নয়নের-
চাহনি আমায় উড়িয়ে নিয়ে যায়,
বিহঙ্গো পাখির ডানার মত-
মেঘলা আকাশের মাঝে তুলনায়।
তাহার রুপ চন্দ্রের মত উড়ে,
নেই তাহাতে এক বিন্দু কলংকের দাগ,
থুঁতনির নিচে আমি ছুঁয়ে গেলে
সে হাসি বাক্স খোঁলে দিত,
তাহার হাসিতে বেলীফুলের পাপড়ি গুলো-
নিম্নমুখী নত হয়ে যেত।
তাহারে অনেকেই দেখেছে
কিন্তু কেউ বুঝিতে পারেনি
ছুঁতে পারেনি প্রেমের বিশাল ডানা।
তাহার ভালবাসা, অপেক্ষায় থাকা-
বিপরীত অঙ্গের দেখা আমাতে পেয়েছে,
তাইতো সে ছুটে আসিতো বারেবার
মানেনি কোন বাধার দেয়াল
বলিতে কথা কিছুক্ষণ নজরে রেখে নজর।
আমি জানতাম তাহার ফুলের সুভাস-
এক জীবনে শেষ হবার নয়,
আমি তাহারে ধরতে পারিনি
রাখিতে পারিনি হৃদয় সত্তা।
আমি আমার টানে উল্টো-
পথে ফিরে এসেছি,
তাহার প্রেমের কাঁচ আমি চুরমার করেছি,
যেখানে উভয় উভয়কে দেখিতাম।

শেষ দেখাটা রিক্সায় হয়েছিল,
সে আমার আগুয়ানকে জাগিয়েছে,
তার মহিমা তারে পোড়ে মারিবে
আমি কিছু করিতে পারিবোনা,
আমাকে সে ভুল ভাবেনি
কিন্তু জানতোনা কি হবে অবশেষে।
                                                 তারিখ ও সময়:- ২৯-০৩-২০০৬,  ১৪/১৫

কবিওকবিতা
কখনো ভেবে দেখিনি আমি,
 কোথায় সেই সীমান্ত পথ
যেখায় বসিয়া আছে আমার নীল নয়না, 
আর কাঁদছে মারিয়ে বিরহ রথ।

তুমি কোথায়? কোন ভাঙা বসতে
আসন বেঁধে রহিছো বসে ?
আমায় ডাকো হাত ইশারায়
বাঁধো তোমার মন কুঞ্জ স্পর্শে।

আমি দেখিনা চাহিয়া এ ভুবন,
কিবা আছে তাহায় কিশের বন্ধন ?
আমি মগ্ন চেতনার আভাসে
অপেক্ষায় প্রহর গুনিতে ব্যাস্ত ।

তাহার ফাগুনের আশায় আশায়
আমার জীবনে সর্বদাই বর্ষার
অকূলান যন্ত্রনা আবদ্ধ,
তুমি এসো দেখো চাহিয়া দৃষ্টিতে
কি সাগরের স্রোত বহমানে গতিমান।

তোমার আউলা চুলের দখিনা বাতাস
আমার অঙ্গে মেখে দাও,
আমি মুছিতে চাই দুঃখগুলো।

আমি তোমায় প্রতিদিন সকালে
একটি মৌনতা মাখা ফুল দিব,
নয়তো ফুলের বাগান দিব,
যেখানে তুমি সৌরভে ঘুমাবে
আমি হবো তোমার প্রেমের বনমালী।

                                 তারিখ ও সময়:- ২৯-০৩-২০০৬,  ১৪/১৫

 

   জোছনা ভরা রাতে আমি তোমার গান শুনিতে চাই
গানের সুরে দহন লাগে তাইতো ফিরে যাই-
শূন্য মনে একলা ঘরে তোমায় শুধু ভাবি
এই হৃদয়ে আঁকা আছে যতনে তোমার ছবি,
তোমায় ভেবে গাঁথি মালা একটি ফুলের কলি
ওগো কন্যা আমায় রেখে কই যাও চলি
কবিওকবিতা

আসবে তুমি আমার ঘরে লাল শাড়ি গায়ে মেহেদি পড়ে
তোমার লাগী অনেক আশা যাবে কি তবে ঝরে ?
এই কাননে ফুলের মেলা যায় যে বয়ে অথৈই বেলা
তবুও তোমার আশায় আছি দিওনা অবহেলা
প্রদীপখানি নিভে গেলে কেমনে তোমার দেখা পাবো-
সাগর জলে ভেসে বেড়ানোর সাধ কভুনা মিটিবো
জানালার ধারে চোখের কোনায় ভাসে তোমার মুখখানি
লাজুক লতা কমলি হাতের পরশ ভুলেতো আমি যাইনি
শ্যামলে মাখা অঙ্গ তোমার বন্দরে দিলাম ভাসিয়া ভেলা
আমার ঘাটে অপেক্ষা করো চলিবে প্রেমের গতি চলা,
আমার দলে আমি রহিলাম তোমার আসার পালা
আলো ফুরিয়ে আঁধার এলো গভীর রজনী বেলা।
গগণের বুকে উঠেছিল সারি সারি তাঁরা
জানালার মত আরাল হল দিলনা আর যে সাড়া
শুনিনি আমি আর কোন দিন রজনী প্রহর মাঝে
রং বাহারীর সুর বয়ে যায় ঢাক ঢোল না বাজে,
তুমি নেই কাছে জীবনের মাঝে কিবা জীবনে আছে
দুঃখগুলো সাথী আমার আছে পিছে পিছে
নীরব ক্ষণে নির্জন মনে বিরহ বেদনার আভাস
কারো আছে বকুলেরর সুভাস আমার মেঘলা আকাশ।
                                                           তারিখ ও সময়:- ২৫-০৩-২০০৬,  ১১/১৫

    কোন দিন যদি কারো নীল আকাশটা-
দেখার ভাগ্য না জোটে,
তাহলে সৃর্য্য কিভাবে উদয় হয় ?
কিভাবে বিকেল গড়িয়ে অস্ত যায় ?
চাঁদের চেয়ে সৃর্য্য কেন বেশী আলোকিত ?
তাঁরাগুলো জোছনা রাতে মিটি মিটি করে ?
কিন্তু দিনের বেলায় নেই,
 তা জানার ভাবনা এই সব জাগবেনা ।

আর যদি চোখের দেখা মুক্ত মনে-
সবই ভাবনায় থাকতো-
তাহলে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগতো । 
কবিওকবিতা
আমি নারীর প্রেমে দিওয়ানা,
তাইতো আমার তার মধ্যে সবই
জানা শুনার সন্নিহিকটে,
দুঃখ কাহারে বলে ?
কষ্টের দৌড় কতটুকু ?
নজরে নজর রাখিবার পর-
কি পরিস্থিতির উদয় হয়,
তাহা উভয়ের জানা শোনার স্পর্শে
সর্বদাই হৃদয়ের মাঝে আনাগোনা হয়।

ভালবাসা কখনো কাউকে
যে কোন অজানা পথে নিয়ে যেতে পারে,
যেমন; আমি বিরহের দলে
কন্যা আমায় আপন ভাবতে পারেনি
যে আকর্ষণে আমি ঐ পথে গিয়েছি
তাহার সবই কন্যার জানা,
তবুও তার প্রতি আমার প্রেমের
পালতোলা নৌকা ঘাটে ভিড়ে,
সে লগি বৈঠার আওয়াজ পায়,
কিন্তু না শোনার ভাব করে।

গভীর রজনীতে যে পায়ের শব্দ-
কন্যা তুমি ক্ষণে ক্ষণে পাও
তা কিন্তু শুধুই আমি,
আমার তোমার কাছে আসতেই হয়।
ভালবসি বলেই তোমার গান
শোনার বারেবার ইচ্ছে জাগে,
নাকের নোলক নাড়িয়ে অভিমান-
করে চলে যাবার দৃশ্য,
আমার বুকে ব্যাথা বাড়ায় ।
সারি সারি তোমার চুলের ভাঁজে
আমার ভালবাসা বান্ধা পড়েছে,
তাই আমি ফিরে আসি
বেদনা যদিও আমায় আঘাত করে ।
ভালবাসি বলেই
তোমার বলা কর্কট কথা
আমার দুঃখ ধোয়ে নেয়।
                                তারিখ ও সময়:-  ২৭-০২-২০০৬,  ২৩/৫০

        
কবিওকবিতা
দখিনের বাতাসে মিশে আছে নারগিছ-
ফুলের চঞ্চলা রুমঝুম আকর্ষণ,
সন্ধামালতী দিয়ে যায় অসীম-
দূরত্বকে কাছে নেওয়ার স্বপ্ন আশার শয়ণ,
নীরবতার মাঝে কোকিলের কূহু কূহু
সুরেলা গানে মনে উল্লাস আসে,
ভাবনায় জাগে কে যেন হাত ইশারায় ডাকে
তাঁকিয়ে তবুও দেখেনা কে আছে পাশে,
মন খারাপ হওয়াার কোন বিবর্ণ রং
চারিপাশে দেখা যায়না,
তবুও তাহার নীরবতা রয়ে গেল,
দোলা লাগিলো না তাহার মনে,
কোন প্রশান্তির পরশ বেয়ে
তাহার নয়ন দেখেনি চাহিয়া
বাহির পানে কি উজ্জলিত,
কে তাহারে বরণ করিতে প্রস্তুত,
তবুও নীরব দেহ, এক বিশেষ-
ভঙ্গিমায় অন্য পানে দৃষ্টি রাখিলো
কোন শব্দ তাহারে অন্য পানে
ফিরে আনিতে পারিলো না,
পা দু-খানি হাঁটতেছে
মনে হয় কেউ জোর করে ধাক্কাচ্ছে
তবুও পাল্টা বাধার চেষ্টা করিলোনা
মশামাছি গুলো চামরার উপর প্রলেপের-
মত জড়িয়ে আছে
তবুও হাত নড়েনি তাহার
কেউতো বেঁধে রাখেনি হস্তদ্বয় ।

এই বর্ণনায় আবদ্ধ পদার্থটি কি ?
কোন মানুষ হতে পারে ?
আমার মতে মানুষ নয়
হয়তো ছিল কোন এক বিশেষ মহিমায়
তাহার বাহ্যিক ভিতরের গঠন ঠিকই আছে
কিন্তু ভাব ভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে
সে কখন খায় ঘুমায় ?
আমার চোখের দেখায় পড়েনি
তাহলে কিভাবে দেহে কার্য চলে ?
নাক মুখ চোখ হাত পা মাথা পেট
সবই ঠিক আছে
তবুও সে কেন তাহার অস্তিত্ব
প্রকাশনে রুপ দেয়না ?
তাইতো তাহারে আমি মানুষ বলিতে অনিহা
জীবন এ সে আছে কিনা, নয়তো অনড় পদার্থ।
                                                তারিখ ও সময়:- ০১-০২-২০০৬, ২৩-৪০

কবিওকবিতা
সবুজ চাদরের মাঝে লাল বৃত্তের আশায়  
গীতিকার একখানি গান রচনা করিলো
সুরকার তাহা সুরে রাঙাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়িলো
কিছুকেই সুর আর সুরের রুপে হচ্ছে না
মিউজিকের কমতি ছিল না
তবুও গানটি মনের মত হলনা ।
শিল্পির কন্ঠে গানের বিকৃতি রুপ-
মানুষের মন নাড়াতে পারিলোনা।
গানের কথাগুলোর কোন অর্থ-
কেউকি খোঁজে পেয়েছে ?
আমার মনে অনেক সন্দেহ হল !
সুরকার সুর সম্পর্কে কোন ধারণা-
রাখিয়াছে কিনা জানি না ?
হয়তো তিনি সরকারী নিয়োগ প্রাপ্ত সুরকার !
ছিল না কোন যোগ্যতার মাপকাঠি।
আর যিনি লিখিয়াছে গান-
তিনি মনে হয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধি,
বর্ণ অক্ষরগুলো সঠিক ভাবে
খাতার পাতায় বসাননি,
তাই বিকৃতি শব্দ উচ্চারণ হয়েছিল
যার কারণে গান আর গান থাকিলো না
ধিক্কার বাণীতে পরিণত হল।

স্বাধীনতা কথার অর্থ জানেন কি ?
হয়তো আমি ক্ষুদ্র পরিসরে জানি, কিন্তু
আপনাদের কারো ভালো ভাবে জানার কথা।
অনেক মুক্তিসেনা আজও বেঁচে আছে
তারা হানাদার দলের মাথা নত দেখেছে,
দূর থেকে রেড়িওতে শুনেছে।
মুক্তিকামি মানুষগুলোর অনেকেরই-
পূর্বে বন্দুক চালানোর যোগ্যতা ছিলনা
তাদের যোগ্যতার চেয়ে মনের সাহস-
লক্ষ গুণে বেশী ছিল,
চোখে ছিল আলো ঝলমল
যার দ্বারা অন্ধকার মারিয়ে নিত।

কিন্তু সুরকারের না আছে গিটারের ধারণা
না আছে গানের রং ঢং জানা,
তবুও তিনি উচ্চ পদের সুরকার,
কিবা আশা করা যায় তার থেকে ?
বরং সঙ্গিত রক্ষা করা হবে কঠিন।

কেউ মুক্তির জন্য যুদ্ধ করে হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা,
কেউ মুক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়ে হয়েছে মুক্তিসেনা।
সবার গায়ের রক্ত লাল,
কেমনে চেনা যায় ?
তবুও বাংলার বুক স্বাধীনতা পেয়েছিল।
আমি পড়েছি, বইয়ের পাতায় পাতায় লেখা আছে,
পুরানো মানুষের কথা থেকে জেনেছি,
যার প্রতিফলে দিপ্তমান হয়েছে-
মুক্তিসেনাদের ঘরে আজ অনাহারির-
সারি সারি দুঃখ তলা;
টিনের থালা হাতে দূয়ারে দূয়ারে-
এ কেমন হাটা চলা।

আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগে নাকি ?
জাগিতে নাহি পারে, কারণ-
আপনি যদি অন্ধ গীতিকার হয়ে-
এলোমেলো বর্ণে সাজানো গান লেখেন
তাহলে তাহা স্বাভাবিক সম্ভব-
হয়েছে বাংলায় স্বাধীনতা আনা।
আমার চোখে এখনো সবুজের-
সুবিশাল চাদর নজরে পড়েনি,
লাল বৃত্ত কিভাবে আসিবে ?

আপনি কি দেখেছেন মুক্ত মনে-
সবুজের ভিতরে লাল বৃত্তসহ পতাকা-
উল্লাসিত ভাবে উড়তে ?
হয়তো দেখেছেন , যদি আপনার না দেখেও 
দেখার যোগ্যতা থাকে।
নয় মাস কেন ? এই বাংলার মাটিতে-
নয় দিনে স্বাধীনতা আনা যেত,
যদি না থাকিতো তারা, বর্তমানে যাদের 
অনেকেই মুক্তিযুদ্ধা দলে নাম লেখানো।
উঁচু উঁচু দালান কোটা
উপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে
যে সময় লাগে, গরিবদের তিন বেলা-
খাবার খেতেও তার কম সময় লাগে।
বয়স বেটার পঁয়ত্রিশ ছুঁই ছুঁই
অথচ তিনি নাকি ছিলেন
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান নেতা।
বিশ্বাস করিতেই হয়,
বিধাতার অনিয়মে সে যদি কখনও
মায়ের গর্ভে থেকেই বিশ বছরের-
দেহ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে,
তাহলে তাহা স্বাভাবিক সম্ভব।
পরীক্ষায় পাসের সনদে লেখা আছে
তিনি নাকি ৩০শে ফেব্র্রুয়ারীতে জন্ম নেয়।

তারিখ ও সময়:- ০৩-০২-২০০৬,  ১০/২৮         

কবিওকবিতা
আমি ধ্বংস,
চুরমার করি সব, উলুটপালট দাবানলের দহনে
উপুরে দেই সকল কালোকাল,
সকল অশান্ত রুপের রুপকার, জ্বলে দাউদাউ,
ক্লান্ত পথিক আমি বুকে নিয়ে স্বপ্নের সঙ্গম,
নিপাত করব সকল খুন জখম ধর্ষণ,
পিপাসার কোলে দিতে শান্তনা,
আমি আঁকবো সৃষ্টি সুখের উল্লাস।

২০. আমি সত্যে,
মিথ্যের সাথে আমি আপস করি নাকো,
কালে কালে এই প্রতিজ্ঞায় আমি অনড়,
মহাকালের আঙ্গিনায় একটা সত্যের পতাকায়
ভর করে আমি চলেছি,
যাচ্ছি, যাবো, জানি না কী পাবো ?
তবে তা কম হলেও, মুক্তির দলিল নিয়ে
বুক ফুলিয়ে যাবো জান্নাতের দুয়ারে। 

২১. আমি দূর্বার,
ছুটে চলার নায়ে থামি নাকো কভু, রণভূমে-
মরণের সাথে আলিঙ্গনে মৃত্যুকে করি আপন, 
জোড় কদমে চলি অসীম পথে;
বহুদিনের এই পথে আমার উন্নত তরী ভাসায়ে
আবিস্কার করি মহাপ্রলয়,
সেখানে যা থাকে তা কেবলই-
মানুষের কল্যাণের কল্যাণ কিছু। 

কবিওকবিতা
আমি জাগ্রত,
ঘুমানো বেলা আর তো নেই, সময় যে ফুরিয়ে যায়
সময়ের দড়ি টেনে ধরা আর নয়,
কখনো ছিল না, থাকবে না,
কিছু রোজগার করি, ভরানো চাই থলে,
ভালো থাকার ছলে, স্রষ্টার সন্তুষ্টি,
ঘুমাতে গেলেই সকল পাওয়া মিছে হতে পারে,
আর পাবো না সময়।

১৭. আমি দূর্মর,
কতবার তো মরিলাম, আমরণের গোড়ে
কেউ আমায় সত্যিকারে মারতে পাওে না,
বারে বারে ফিরে আসি এই বাংলায়,
এই বাংলার পথে ঘাটের প্রতিটি বালুকণায়,
জল তরঙ্গে মিশে আছি আমি হাজার বছর ধরে,
আরও থাকতে চাই, কেউ আমায় পর করো না,
দোহাই আমার এই কথা রাখো।

১৮. আমি মুক্ত,
ফিঙ্গে মাতন দোলায় আমি ঐরাবতের বুকে
ভর করে চলে যাই অজানার দেশে,
আমায় ফেরায় কে ?
আমি মানি না কো কোন বাধা
কোন বদ্ধতার ক্ষুদ্রতম আবেশ,
যেতে থাকি সামনের দিকে, তাঁকাই না তো পেছনে,
হোকনা তা আমারি আপনের আপন।

কবিওকবিতা
আমি চঞ্চল,
জীবনানন্দের কবিতার সব ক’টা লাইন
জুড়ে আমি বনলতা সেনের প্রেমী,
রক্ত চক্ষুর ফোয়ারে দেখা বন্ধন কঠিনিয়ার-
নিগাঢ়ে এক শ্যামল তরুলতা,
ছড়িয়ে দিয়েছি আমায় হাসিমাখা জীবনের
 সাথে আলিঙ্গনের সুখে
আমৃত্যু দশার মরণ কামড়ে।

১৪. আমি মানুষের রক্তে,
মানবের সাথে মনুষত্বের দুয়ারে মেলানো
এক খন্ড মাটি দিয়ে গড়া রক্তের
পরিচয়ে স্রষ্টার শ্রেষ্ট সৃষ্টি,
নইতো অমঙ্গলে আশে পথ চলার দায়ে
 বিমুখী হয়ে কারো ক্ষতি করার তুখোড় প্রণয়ে-
বেঁচে থাকার অদম্য সাহস নিয়ে
ব্যর্থ ভাবে অবশেষে পরিপাটি।

১৫. আমি হিম্মতে,
তিন কোটি বছর ধরে জেগে আছি,
কালে কালে লোহার জুতো পড়ে ঘুরে বেড়াই
সত্য সাহসের আলো নিয়ে,
দেখাতে চাই সোজা পথের পথেই
শুধু আমরা মানব থাকতে এসেছি,
কোন বিপথে যাওয়া আমাদের কাম্য নয়,
এ আমার নয় শুধু কথা।

কবিওকবিতা
আমি হিমাদ্রী,
 নজরম্নলের বাহুবিলস্না, ছমছম কঠিনিয়ায় বেঁধে
দেওয়া দামিনী তরঙ্গের নেশায় মজে থাকা
এক দন্ড উন্নত মম শির।
খেলি খেলারামের সাথে, ঢেউয়ের তালে সীমানায়
যাওয়া কঠিন বালুচরের মরুকায়,
জেগে থাকি সাত আসমান কামনায় এই
দুনিয়ার একটা ফসলের মাঠ তৈরি করতে।

১১. আমি চেতনায়,
সদাক্ষণ সারাক্ষণ থাকি ভাবনায় মজে
দেখি স্বপ্ন আমার ভবিষৎ নিয়ে
কতদূর যেতে পারবো কতটা নিয়ে,
চোখ কান খুঁলে স্বরণে রাখি,
ভঙ্গুর কাল যেন আমায় ভাঙ্গতে না পারে,
পর্দার ওপারে রাখা মরিহে যেন
সারাজীবন জ্বলতে না হয়  এই বুকে।

১২. আমি অবাধে,
মানি নাকো নিয়ম শৃঙ্খল বদ্ধতা,
শুনি নাতো ভয়ের আভা, ভয়ান্নে
বেঁধে থাকার আবেশে,
যাই যথা তথায় মনের মত করে
ঝড় তুফান উপেক্ষা করে,
সুদূর সুরঙ্গে থাক না তাতে মরণের-
মরণ কামড় জ্বালাময়ে।

কবিওকবিতা
আমি এলোমেলো,
এই জগত সংসারের পয়ারে,
ঘাসের বুকে কিংবা তরুছায়ায়,
যেখানে শ্যামল বরণ জাগরুক।
তবুও চলিনা স্বাভাবিকের গোড়ে,
মনে হয় ওখানে কিছূ নেই,
সকল পাওয়া যেন এলোমেলোতেই
আমার জন্য হাত ইশারায় ডাকে।

৮. আমি আলোকিত,
চির কথামালায় আঁকি আলোর গল্প,
ছুঁয়ে দেই ভুবনের আলোক সজ্জা,
ছুটে চলে তা দিক থেকে দিগন্তে।
যাই না কালোর কাছে ভয়ে,
অভয়ে মরার দারুন আশায়
কতটুকু আবেশে থাকবো ?
হবে কী আমার ঘর আলোকময় ?

৯. আমি যৌবনে,
পেরিয়ে এসেছি অবুঝ মানবের কাল,
ছুঁয়ে দেখা তরুরাজি আমায় জীবনের গল্প শোনায়,
বলে ইহাই সেরার সেরা কাল।
জানতাম সেরা, জানি সেরা তাই এই আবেশে
থাকতে চাই যুগের সাথে,
আমরণের বুকে দীর্ঘায়ু কামনায়
ফূল পাপড়ির কথা মালায় অনন্ত অসীমে।

কবিওকবিতা
আমি দুরন্ত,
থামি না আমি কোন কৃত্রিম বাসনায়, দন্ডায়মানে;
এ ছুটে চলার সীমানা বহুদূর,
জানি না কিন্তু আমি তার রতনের রতন মন্দিরা।
জানতে চাই্‌ অজানা গোড়ের কাহিনী,
থাক না সেথায় অবেলার সুর;
কিংবা ফূলের ওপর মর্মাহত কাল-
থেকে কালে থেমে যাওয়ার যামিনী।

৫. আমি উত্তাল,
খর্গজে মাখি মাতন দোলা, অভিনাষী;
দূর থেকে দূরে আরও দূরে,
সীমানার ওপারে সাত আসমান ভূমে।
খেলে যাই তেলেশমাত রণভূমে,
উল্কিত পাথারে আঁকি ঘর সংসার;
দোজাহানের টানে মরি মরি-
কিংবা শূণ্য থলে হাতে নিয়ে কাঁদি। 

৬. আমি তারুণ্যে,
ছূঁড়ে ফেলি বার্ধ্যকের সকল ছায়া,
আনি তোলে ফসলের ফরমান,
রঙ্গিন ক্যানবাসে এক দন্ড সুখ।
ছুটে চলি এক চিলতে দুনিয়া জুড়ে,
এক থেকে আরেক সত্যের সন্ধানে,
পথ ভোলা উপুরে সোজা পথে,
যেখানে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

কবিওকবিতা
আমি চির,
আলো বাতাসের সাথে সম্মেলিত জগৎময়, রুপান্তর;
মানবের বুক থেকে বুকে সুখ দুঃখের সাফারি,
যেখানের পেছনে কান্নাও থাকে আবার হাসিও থাকে।
ঐ আকাশ এই মাটির চাদরে আমি বুনি ভালোবাসার স্বপ্ন,
উহাতে কোন বৈরিতা নেই;
বরং আছে অজস্র আশা ভালবাসার ঘরে-
লাল নীল সবুজ হলুদ ও আরও অনেক পতাকা।

২. আমি আগুয়ানে,
কম্পিত ভূমির বুকে একগুচ্ছ সাহস, হিম্মত;
রক্তের সাথে রক্তাক্ত দেনা পাওনা,
মুছে দেই চোখের নিগাঢ়ে ভাসা দুঃখটা।
কালে কালে যা দিয়ে যায় কালো কাল,
সেখানে আঁকি মনের মন মনান্তর;
আছে শির হিমাদ্রী ধরে পথ-
চলার অদম্য চিন্তা চেতনার ফলশ্রতি।

৩. আমি মুক্তিতে,
গেয়ে যাই মুক্তির গান গুঞ্জনে, কূজন;
বাতাসের ভিতর হাত বাড়িয়ে দেখি মুক্ততা,
অতঃপর আমি পাই স্বর্গীয় শ্যামা।
যাঁরা বন্দি রোষানলে নির্যাতিত রুদ্ধ,
সেখানে ছুঁড়ে দেই আমার পতাকা;
ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় খোঁলা জানালার-
ক্যানভাসে দেখা জনতার কাতারে হাজারো সুখের চোখ।

কবিওকবিতা
ভালবাসা কখনো রৌদ্র  মেঘের
ছায়ায় মিশে যায়,
অচেনা অজানা ফুল পরীর সাথে
বিহঙ্গের গান গায়।
কখনোবা অচেনা পথে প্রান্তরে
একাকি কাতরাতে থাকে-
দৃষ্টিহীণ হয়ে কখনোবা কর্কট-
কাটা ভরা অরণ্যে যায়,
অনাহারে অর্ধাহারে কতদিন রাত-
অপেক্ষায় বয়ে যায়।
আমি দেখেছি কখনোবা ভালবাসা
উচ্চ আকাশে চাঁদের সাথে-
মিশে জোছনার হয়ে যায়।
কখনোবা দিনের আলোতে মিশে
দখিন হাওয়ার সাথে সতেজ দান করে।
ভালবাসা কখনো, গাঁয়ের মেয়ের চুলে-
লাগানো ফিতার সাথে বকুল মালা,
কখনোবা শত ব্যাথার মাঝে প্রিয়ার
দর্শনের স্পর্শে কেটে যায় বেলা।
কখনোবা বিরহ যন্ত্রনায় কাতর হয়ে
নয়ন কোনায় জল জমে
ভালবাসা মানে দিনের পর দিন
প্রেমের পাখিকে কাছে রাখা,
কখনোবা বুকের ভিতর জলন্ত
আগুনের যন্ত্রনা।
তারিখ ও সময়:- ১১/০৭/২০০৫, ০৮-২৫

কবিওকবিতা
চাইনি আমি তোমার ধন আমায় দাও,
চাইছি শুধু দুঃখ ব্যাথা-
কিছু না হয় বিলাও।
আমার থেকে নিও কিছু তোমার পাঁজরে,
একে অন্যে মিশে থাকবো-
দুঃখ সুখের সাগরে।
নয়ন দৃষ্টি মিলাবো দুনিয়ার লিলায়,
অন্য চক্ষু থাকিবে জেগে-
দু-জনার বাসনায়।
জীবন নামক অন্ধঘরে
কত বিরহের খেলা,
ভাসিয়ে নিব দু-জন দু-জনায়
ভাসাবো মনের ভেলা।
বিকেল, চৈতালি রোদ শেষে-
ঘাসের বুকে পরশ,
দু-জন বসে ভোগ করিবো অদৃশ্যের রস।
জীবন ঝড়ে সাগর তীরে
আঘাত আসে বারেবার,
তখনো রহিবো আপনা পাশে
প্রতিজ্ঞা করি এবার।
নেই কোন স্বার্থ, লাভ ক্ষতির হিসেব,
সুখ দুঃখের আদান প্রদান-
চিরদিন থাকে সেভ ।
তারিখ ও সময়:- ১৬/০৭/২০০৫, ১৯-০৫

মানবাত্মা কবিতা
ভাঙিয়াছে শিরদাঁড়া কুঁজোকাল মোর
শক্তিহীনা দেহতরী স্বপ্ন ভাঙার প্রসর
একাকি কাল পাশে থাকেনা কেহ
গল্পগানের রসানী রুপে ঝরা পালকের দেহ,
মূল্যহীনা সফেত, কাদা মত্তিকায় ভরা
যৌবনহীনা কাঙ্গালী বেশে ধরা,
আদর নেই মায়ার প্রজ্জলিত রুপে
দিতে পারেনা, শুধু চাহে অরুপ চুপে,
মানুষের মাঝে নেই তিনি, নেই আবেশে
পত্রমিতালী প্রেমপূজনে কেউনা ভালবাসে।
৪১
নেই সেই, এই আছে, ছায়াপাত গহন
মুড়ালী প্রেমহীনা কাঙ্গালি চরণ,
কূহু কেকা ভিতরেই, নহে বাহির পানে
স্বর্নালী যুগ নেই, জল পিয়াসি স্নানে
শুধু কিরা কূহন অগোছালো কাল
মানুষ রুপি বোধ নেই, যেথায় একাল
পড়ে থাকা সভ্য, উঠে আসা নহে
আঁধার ঘরে জীবন যেন রহে
সুখদুঃখ এখানে সোয়ারী চিত্যদানে
মুঞ্জুরী ঝরা কূলে অনশন বানে।
             -শেষ-

মানবাত্মা কবিতা
ওরা থামেনা, অপ্রজ্জল রেখা ভাঙিয়া-
নিখিল অরণ্যপাতে যায় দিশা দিয়া,
ওরা কাঁদেনা কান্না, কাঙ্খিত নহে,
ছুটে চলে দূর্মর জীবন- দ্রাহে,
নেইতো ক্লানি- হতাশার অবলিলা
তৃর্ষ্ণায় দেয় জল অন্তরঙ্গ খেলা,
ওরা তবুও মানব, বিজলী স্বপ্নে
সংসার আছে প্রেমাত্ব চুম্বনে
ওরা তারুণ্য অভয়ে প্রলয় শিখা
ওরা জাতির কর্ণধার স্বর্নশিখরে লেখা।
৩৮
মরিয়া গিয়াছে দেহের অন্তর পিলা
থর থর বুক কাঁপে কফিনে খেলা
কে নিবে লও তাহারে তুলিয়া ?
কেউ নেই দেখি যেন থাকে পড়িয়া,
মানুষ সেতো, পশু নহে, সৃষ্টি ভোলা
পথে পড়ে লাশ তাহার এই কালবেলা ?
দাবী নেই জঞ্জাল তবে কি তিনি ?
মরিতে হবে সবের কভু বুঝিনি
নিস্ফল নিয়াময় মায়া মুখখানি
ওপারেতে যাবে তিনি কেউ শোনেনি।
৩৯
রক্ত চোষা পাষাণ বেদি নর হত্যাকাল
মারবোরে হায় এক গুসিকিল বুঝিবি অনন্তকাল,
আমরা জাতি, নই বিজাতি থাকিবো নত শিরে ?
উত্তাল মোরা রক্ত তেজী ধরনীর বুক জুড়ে,
আমরাতো রাজসিংহাসনে গুপ্ত পাথারে
অপরাধ যাহার ধ্বংস তারই, মারিবো পোড়ে
শান্তি বিনা নেইতো চাওয়া, কলঙ্ক নয় হায়
ছুঁড়ে ফেলি গহিন বনে জীর্ন চুল্লির পায়,
সমাজ সাথে আমরা একই পথে
দুঃখসুখে বিবেধ হীনা বাঁচিতে চাই সাথে।

মানবাত্মা কবিতা
ছোট কথা ছোট মানসি মন
বেলা অবধি অন্য বেলা তাহার ক্ষণ,
পারেনা চলিতে কহিতে রাঙা মঞ্জুরী
দুঃখ ব্যাথার কোন সে রুপ বাড়ি ?
কাঁদে হায়, কিবা দায় তাহার ?
ক্ষুদ্র কাব্যে থাকিলো জানি অপার,
একদা জন্মিবে তব ফানুষী দ্বার
কুঞ্জে রটিবে বিশাল কর্ম তাহার,
মানব ছিল তারপর দিব্য মানুষ
চৌধারে দিপ্তলেন, নহে জুলুস।
৩৫
তিনি রাজা, রাজত্ব আজ্ঞে তাহার
হিরা মানিক রত্মভান্ডারে একাকার
দূর, অদূর, হস্ত দিশারি পাতাল
কুর্নিশ লহে প্রজার থেকে সেকাল,
হুকুমাতে সোয়ারী সর্বাঞ্চল
কাঁপে থরথর ভূমি তল,
অকারণে শিরচ্ছেদ নতুবা দয়াবান
দুঃখ দেখিয়া হৃদয় কাঁদে, খুলিয়া দেয় প্রাণ,
সেই ভবে নয়তো উপুরি ভাব
কান্ডারি যাহাদের তরে পক্ষিয় স্বভাব।
৩৬
পতিতায় বাস ওখানেই সোয়ারী
দুঃখসুখ জীবন- কালে উহাতেই তরী
যেতে নেই আসিতে পারো
রুদ্ধ দ্বার খুঁলিতেনা পারো.
দেনা আছে পাওনার পালঙ্ক নাই
মিছে ভর্সনা রজনী পোহালো তাই
দর্শনে নেই বাহ্যিক স্বপ্ন গাঁথা
মুড়ালী প্রেমের সু্‌প্ত কথা-
মরণ তথায় শবেদাহ লাশের স'প
পতিতা উহারা আজন্ম নিখিল চুপ।

মানবাত্মা কবিতা
এসেছিল কবে গহন? অরন্য পথে-
মাংস চুম্বনে দিল ছোঁয়া কোন  রথে ?
কোথায় পালালো সেই ভর্সনা ?
দেখিনি মজিনি কি তবে পাওনা ?
মনে রাখিনি কি হয়েছে মোর ?
আকাশ পাতালে পেয়েছি খুন পাথর,
আর জাগেনি আরতো বলেনি কথা
লাশ কিনা দাহন ঝিলের ব্যাথা.
উপুরে মরিলো মরিচিকা বায়
তাচ্ছ্যিলতা বুকে বহে বাসুমায়।
৩২
মরে যায়নি তিনি কখনো নহে
মানবের মাঝে যেন বাঁচিবার চাহে,
উদয়াস্ত- নিবির ছায়া অরণ্যে-
থাকিবে জাগিয়া হাসি খেলার জন্যে
কার্তিকের ঘাস কখনো বা হয়
গাংচিলের মাছ ধরা প্রনয়
মাঝি মাল্লার পথের পড়ে রাখালী বেশে
নতুবা মেঘ রৌদ্দুর ধারা আবেশে,
বাঁচিবারে কর্মে ধরন বেলার সাথে
শ্যামল মায়া তারুণ্যপাত জোছনা রাতে।
৩৩
তাহার সংসার পুত্র কন্যা বধুয়া স্বজন আবেশে
পরহেরি আত্নার সাথে পাশে
ওখানে মায়াছায়া ভালবাসার গীত
দেনাপাওনার কাছে হেরেছে অতীত,
ব্যাদনা সাথী সিক্ত ভেজার মায়া
শান্তির দুয়ারে উজ্জল ছায়া,
ভুলেনা, ভুলিতে থাকা দায়
ধরনীতল হিমেল মাখা সঙ্গতায়,
উহাতেই শেষ স্বপ্ন বুনিবার সাধ
যুগান্তর পথে নক্ষত্র বাওয়া প্রভাত।

মানবাত্মা কবিতা
উজার করি মহাময় ধনরত্নাধি
দুস্ত' গরীব কাঙ্গালি মেয়ের শাদী,
দিলেম কিছু তাহাদের কাঙ্খিতে
মিটিবে তৃষ্ণা, মরণ নেশার সাথে।
অর্জন করে ধনভান্ডার সৎ আবেশে
কিছু রাখে বাকিটা পরের তাসে,
থাকে শূন্য, কিবা মূল্য মরণে
জবাব নাহী দিতে হবে ধনরত্নে,
আমল চাহি পূর্ণতা তাহাতেই
রুহু যাবে জবাব দিবে কবরেতেই।
২৯
সন্ত্রাসী হেথায় চির অভয়অরণ্য-
বুলেট প্রভায় রজনী পোহালো ধন্য
রক্ত পাষাণে লাশের মহুরী
মায়া নেই, প্রেমাতলে মঞ্জুরী
বিষন্নতায় দোলে সারাজাহান
চোখের বুলি বর্শায় মরে ম্লান,
সংসার নেই, সিক্ততায় গোপন পিয়াস
অবৈধ আবেশে দক্ষিণা সুভাস,
কবরে যায়নি লাশ, পথের ধারে-
শৃগাল কুকুড়ে মোচড়ায় উদরে।
৩০
চঞ্চল মন দৌড়ায় প্রেমের আবেশে-
নক্ষত্র রাজি বহতা গিতালী আশে
স্বপ্ন সাঁকোতে পাঁজর দোলে
বেদনা হীনা পল্লব নিশানা দ্বীলে,
যেতে পারি রাগিনী নারীর সাথে
জীবন তাসে মিলন মাখানো প্রভাতে
বৈরীভাব দূর করিয়া গমন,
আলো আশা নরনারী বাহুতল শ্রাবণ,
চলিছে কাল কুঞ্জ দিপালী জল
সুখদুখে একাকার হিমাদ্রী আঁচল।

মানবাত্মা কবিতা
কবিতায় কবি শব্দার্থে রং
অমূল্যে থাকিলো, হবে কিনা ঢং ?
বলিলো একটিবার সুযোগ চাহি
কাব্য আপনার প্রচারে মহি,
নাইবা দিলে নতুনদের স'ান করিয়া ?
সাহিত্যের জয় কেমনে হয় মরিয়া ?
মনোবল বুনি একটিবার হবেই জয়
নাইবা থাকিলুম এ ধরায়, তথাপি ক্ষয়
বুঝিবে সত্যি, এ চক্ষু দেখিবেনা তাহা
আপনা কবি মহাবর্ষে দর্শন স্পিহা।
২৬
দাও সামান্য অন্ন, আজি আপনারে
তৃষ্ণার্ত বুকে হাহাকার চুল্লি নড়ে,
কাঁপে হৃদয়, জীবন প্রনালী আবেশে
হাঁটিবো কত আর কোন আশে।
জুড়িয়া লই উদরখানি সিক্ততায়
বহু যুগলে শক্তিমর্ত্য দুনিয়ায়,
স্বপ্ন পূজারে হিমাদ্রী তাল বাওয়া
যাবোনা যেন অরুপ কাঠিতে ধাওয়া,
শুধু খেতে চাই আর নাহী চাহিলেম
ধরনী মোরে ক্ষমিও যাহাই পেলেম।
২৭
সর্বাদেহ রক্তাক্ত জামায় জড়ানো
লেলিহান বাসর শয্যায় বধুয়া তখনো,
ছিলনা কথা, এ কেমন মধুরতা,
লাশে হই আলিঙ্গন তথা।
মিটেনি আশা ভাঙ্গিলো বাসা
আসিলো ধেয়ে পাষাণপুরী নেশা,
মুছে গিয়াছে আলতা চুড়ি ফিতা
কয়নি কথা মুড়ালী দুঃখব্যাথা,
মরণি দর্শে ততোকি বর্ষে আর ?
আসিলো কি সেই বাসর মুছিতে রক্ত পাহাড়।

মানবাত্মা কবিতা
আমায় মেরো না, আপনার আহত প্রাণ
শুনিনি তোমাদের কর্মমুখী গান,
যে আলাপনে দেশান্তর জ্বলিয়া যায়
চূরমার হুলিয়া মানব রক্তের গায়।
আমার অভয় প্রাণ, ভয় পাইলো
কারণ, স্বজন আপনার অপহরণ হইলো,
করার নেই তথাপি ক্রন্দন মরে
কোথায় বিচার ওদের বাঁচিবার তরে ?
হায় ঘুমিয়েছিল হিমেল শীতে
শোনোনিকো চিৎকার? অবিচার চিত্যে।
২৩
বখাটের দল অকর্মা পাঞ্জেরী
রাগ বেশী বিপদ ধরে পন্থা চুরি,
ছেঁড়া জীবন যাযাবর জঞ্জাল
সমাজ হেরি উন্নত দ্বারে শৈবাল,
নষ্ট কথা তীব্র ব্যাথা অপরাহ্নে
পথে ঘাটে অশান্ত রুপ দ্রাহে।
পারেনি হতে ফিরে আসা
মন্দ কর্ম হেরি বাস্তব আশা,
থাক পড়ে মল মূত্রে ঘুমায়ে
জেগে দেখিলো তিনি কবরে শোয়ে।
২৪
কে তুমি চলিলে যেথায় যাও ?
ভাসমান, আপনারে নেবে কিনা নাও ?
চাহিনিতো ধনশালী আপনারে দাও
শুধু চাহি পথরেখা, দিশা দেখাও,
একটু তাঁকাও বারেক ফিরে
এই মানব আজ্ঞে দুয়ারে !
মরিতে চাহিনা তোমাতে কহি
সামান্য দিক নজর আপনাতে চাহি,
চলে যাবো দেখিতে দেখিবো একদিন
তুমি মোরে ভেবেছিলে সুদিন।

মানবাত্মা ।। Manobatta
ধরো এই হাত ওগো ললনা
পড়েছি যে পাথারে ভর্সনা
তোমারেই খুঁজিতে এলুম
অপরাহ্নে পিঞ্জর দলে পাইলুম,
আর যেওনা কো রাখিয়া আপনারে
অপর বেলায় কালবেলার তীরে
বাঁধো যতনে আত্ম চুঁমায়
স্বর্নালী মধুর আবছায়ায়,
যৌবন বাঁধানো নন্দিনী হিয়ায়
উত্তাল ঘর্ষণ খেয়ালী মায়ায়।
২০
ফুরালো জল পাঞ্জেরী গাঁথামালা
সাঁজন চুলচে অধির বেলা,
বনিবনা তাহাকি সাঙ্গ খেলা ?
হোঁচট জলে তরঙ্গ ভেলা।
সেই দিন আরতো সঙ্গেতে নাহী
মাধুরী পূর্ণতায়, পালিয়েছে কহি
নর নারী মিলন পূজারী কাল
রঙ্গেতে নাহী সেকেলের পাল,
শুধু থাকিলো মানবাত্নার চুয়ালী
অবাসর দোলে খাঁ খাঁ চৈতালী।
২১
থেমে গিয়াছে আপনার দোস্তানী
ধরনীর পথে বাঁচিবার আশা ম্লানী
থুবরে খায় রক্তমাংস দেহ
তিনিতো মানবাত্নার কেহ,
নিখিল ধারায় উহাই দেনাপাওনা
মানবে মানবের মুষ্টি চেতনা
খুন হয় রক্তাক্ত করে
স্বার্থ বড়, ভাইবেরাদর দূরে
সর্বদা আপনাতে মহিস্ব পাল
দুনিয়ায় বুকে তিনি শ্রেষ্ঠ দামাল।

মানবাত্মা ।। Manobatta
নত করো হে প্রভু ! তোমাতে আপনারে
আজ্ঞে দোলাও চাহিদা তোমার তরে,
কেন শোনেনা বারণ অকারণে ?
বিপথে চলে সদা অন্যমনে।
জ্ঞান দাও প্রভু প্রজ্জল গুহায়
যেন অর্পিত হই তোমারে পাওয়ায়।
অদিশাতে চূর্ণতা দাও
সব্যশাচিতে সুখ বিলাও,
একান্ত হবো যেন জন্মান্তরে
আমরণে পথ ধরে তোমারি সুরে।
১৭
উত্তাল মোরা উন্নত মম শির
কান্ডারি পিয়াসে খঞ্জর হাতে ভীড়,
দিগন্ত কোনে প্রলায়ন বাহু চুল্লি
অভয়ে আকার সাঁতার ডাঙ্গুলি
দূর করি হস্থ দিয়ে জখম খুন
হৃদয়ে পূজারী প্রেম, সফেত উনুন,
আশা নেই, নিরাশার কোলে-
কূয়েলিয়া রাতে, সুখ দোলে
সংসার বেড়ী দুঃখটায় প্রহার
ভালবাসার ফুলঝুরি সবাই সবার।
১৮
আমাতে আর রজনী পোহালোনা
জীবনে মাঝে স্বপ্ন এলোনা,
একটু দেবার মহা আর্শিবাদে
দেনা পাওনার সাথে বাধ সাধে,
হারিয়ে যায় রঙ্গ ললাট
সংসার আবেশে রুদ্ধ কপাট
পথ কিংবা পথিকের দোলনায়
কোন চেতনা জাগেনি আপনায়
দেখা দিবে কিনা? একটু পিয়াস,
আবহ সঙ্গনায় জীবন বাস।

মানবাত্মা ।। Manobatta
সেই দিন খোঁজে যাই
তবু কেন পাওয়া নাই ?
স্মৃতির কোঠরে কথা কাকুলি
মেঘের সাথে কেন হয় মামুলি ?
সেই ক্ষণ সেই স্থান
বুঝিনি কভু তার প্রতিদান,
মধুর স্বর্নালী ফ্রেমে বাঁধানো
পেতেম যদি আপনা তাহা কখনো
বুকের পাঁজরে আঁকড়ে বাঁধিতুম
আত্মার মুড়ালে বাসর করিতুম।
১৪
লেখে কিছু ছত্র ছায়ার চয়ণ-
ভাষার কথিকায় কিছু জীবন
সাঁজায় পান্ডুলিপি ভর্সনায়-
পাখি ডাকা ভোরে তিনি তথায়
আসে যাহা বুঝে তাহা-
স্বর্নালী পাঁজর প্রনালী উহা,
দুঃখ দানব বিরহ সুখ আঁকে
নদী পাঁড়ে তিনি একা কাউকে দেখে-
নীরব তিনি তাহাতে কাব্যিক ছবি
পোহালো রজনী তাহার, অনশনে দাবী।
১৫
নিষ্ঠা প্রনয়ে এগুতে তিনি-
সুখ বিলায় দাহন তলে যিনি
অন্যকে ভাবে আপনারে চুঁমে
কষ্ট পায় তিনি দাহন দমে,
পথে ঘুরে কেউ কী কাঁদে ?
সে কারণে বুকে বাঁধে
লও কে তুমি? তোমার চাহিদায়
কিছু অন্ন ছিল মোর, দিলেম তোমায়
আপনা যাই অন্যত্র হেথায়
দান করি তাহাদের দুঃখতায়।

মানবাত্মা ।। Manobatta
আহত প্রভা নেই খঞ্জরখানি
বাহু দানে উওাল জোয়ানী,
হারিয়ে গিয়াছে, মরিয়া তব দেহ তেজী
আরশী কূলে থাকিলো তাহা বুঝি ?
পথ আজি জানা নেই অকূল গোড়ে
মনে পড়ে কোথা ছিলুম কোন সুদূরে,
নাহী আর দিব্য প্রভা চল
গর্জে বাহু তামাতল সফল
শুনি শুধু সময় পেরিয়ে যায়
মরে দেহ আমরণে যেথায় ।
১১
পথ হারা ফানুষ কহে কথা
বিজলী ডাকি তোমায় ? দূর করো ব্যাথা
দাও দিশা মনে আশা
প্রহসন সেলামী রৌদ্দুর বাসা,
একটু করো সোহাগ মোরে
খোঁজে ফিরি তানানার গোড়ে
সংসার আজ্ঞে চাহিদার ধ্যান
রোজগার করি কোথা দিশারী বন
ভাবনায় মরি, তাই হতাশা তবু
আর কত এভাবে দিনাপাত নিভু্‌।
১২
আসিবে তাহারি প্রেম চুয়ে-
হিমাদ্রী পথে স্পর্শ দিয়ে
বেদনার বুলি আওরায়ে
এই পথে থাকিলুম তাই সয়ে,
প্রেমিক হায়! প্রেমায় জ্বলে
চুঁমে ছাই দিশা সাঁকো দোলে,
অন্নহীনা কত সময় হলো পার
মজিনু তবু উহাতেই অপার
আসেনি কাল কাব্যিক বরষায়
কবি মরে প্রেমায়, ধুম্ম যাতনায়।

sislam8405

{Facebook#https://www.facebook.com}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget