ভাগ্যের বেশী পাওয়া নয় ! II Bagger Bashi Pawer Noy
সকাল ন’টা বাজে, আমার বউ শুয়ে আছে,
সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য মানুষ।
আমার মা অসুস্থ্য ! গত রাতেও মায়ের জ্বর অনেক ছিল,
এখন কত জানি না ।
বউকে বললাম, এখনো উঠবে না ? গিয়ে দেখো মায়ের কী অবস্থা ?
জ্বর বেশী হলে কপালে জল ঢালতে হবে ।
সকালের নাস্তার কি ব্যবস্থা করবে ?
বউ মাথার ওপর থেকে কাথাটা সরিয়ে বলল-
প্যাক প্যাক করা বন্ধ করবে ? ঘুমাতে ভালো লাগছে, এখনি উঠতে পারবো না ।
এতো দরদ হলে গিয়ে নাস্তা বানাও, আমি পারবো না ।
ও ঘর থেকে মা সব শুনে বললেন,
কীরে অপু আবার কি হল তোদের ? একটু এদিকে আয় ।
আমি দৌড়ে মায়ের কাছে যাই।
মাত্র ক’টা ঘন্টার ব্যবধানে, রাতের পর থেকে মায়ের চেহারা কী হয়েছে !
কপালে হাত দিতেই মা বললেন-
আলনা থেকে বাজান কাপড়টা দে তো,
এইটা নষ্ট হয়ে গেছে। একটু কালুর মাকে খবর দে, ও এসে ধুয়ে দিয়ে যাবে।
আমি দৌড়ে মায়ের কাছে যাই।
মাত্র ক’টা ঘন্টার ব্যবধানে, রাতের পর থেকে মায়ের চেহারা কী হয়েছে !
কপালে হাত দিতেই মা বললেন-
আলনা থেকে বাজান কাপড়টা দে তো,
এইটা নষ্ট হয়ে গেছে। একটু কালুর মাকে খবর দে, ও এসে ধুয়ে দিয়ে যাবে।
ছোট বেলায় মায়েরা সন্তানদের কাপড়ে কিংবা গায়ে লেগে থাকা গু মুত ধূয়ে দেন,
কোন মায়ের মুখ থেকে তো শোনা যায় না যে-
কী এক সন্তান পেট থেকে হয়েছে তার গু মুতে বাড়িটা গন্ধ হয়ে গেছে !
আমি ভাবলাম, কালুর মাকে ডাকবো না, মায়ের কাপড় আমি নিজেই ধুবো,
মা যদি আমার সব যত্ন করতে পারেন, আমি কেন তাঁকে পারবো না !
বউ হয় তো ও ঘর থেকে কাপড়ের কথা শুনেছে, তবুও উঠে আসে নি ।
আমি কি বলব বউকে ! গালি দিব ! তাতে কি তার সুমতি হবে, যদি মন থেকে না হল !
মায়ের অসুস্থ্যতা সাত দিন ছিল।
রাতে রাতে উঠে গিয়ে আমি কপালে জল পট্টি দিয়েছি, সকালে উঠে রান্না করেছি।
বউয়ের মনে কি এর জন্যে কোন ভাবনা হয়েছে ?
১৩-০১-২০১২