কোকিলের
কূহু ডাকে
ফিরে দেখা
শ্যাম কালা
হিমালয়
থেকে নামে
সূভনিয় জল,
কার্তিকের
মাঠে চেতনার
কাব্য ভরা
ফানুষি
দূর
বহুদূর আত্মার
রাঙা আলতা,
বধূয়ার
খোঁপায় বেলী
চাঁপার সমতল
মৌনতা,
বাঁশ
বাগানের উপর
জোছনার রজনী,
হেসে
টল ঝুরির
বাওয়া,
মধু
মালতীর নিশ্চুপ
গল্পের আঙ্গিনা,
যেন
বেলা ! ফাগুনের
রাতে কূয়েলিয়ার
বাও-
ভেসে
আসা হাসনাহেনার
রুপ কামিনী
যৌবনের
বিশালে প্রভাতে
সুখ পিয়াসা।
২০
আমি
থাকিবো বাঁচিয়া
বহুকাল জুড়ে-
এই
ঘাসের সনে,
ঘুমিয়ে থাকা
আবেশে
কিংবা
জাগ্রত জালে
লুটোপুটি দিব্য
নমুনায়,
আমি
স্বপ্নে রাঙবো
বাতাসে বাতাসে-
এই
জল এই
মাটির খাঁটি
রুপ মর্মতায়,
আমি
যথাই থাকিবো
কালেকালে
অলিগলিতে
কৃষকের লাঙ্গল
জোয়ালে-
শীতের
থরথর বুড়োর
কাঁপনে,
আঁচলে
মোছা ঘামের
গন্ধরায় তানে
ফতফত
করে উড়ো
ঘুড়ির পাখনায়
মাছরাঙা
পাখির পলাতক
ঠোঁটের ধারে।
২১ কৃষানের কুলায় ছড়িয়ে পড়ি আগলে
হাতে পায়ে জড়ানো ধানে-
নবান্নের দিগন্ত মাঠে,
আমার বুকের পিনায় থাকে শান্তনার বোধ,
আমি কোথায় ঘুমাবো কোন আঙ্গিনায় ?
সর্বাঙ্গে মায়ের আঁচল ভরা শান্তির ঘুম,
ঢেঁকির চালের তলে দেখি স্বাধীন সত্তা,
পুকুরের জলে ধোয়া বধূয়ার এলোচুলে বাসনা,
আম কুড়াতে সুখের দিব্য সমীহা
জামের রসে ঠোঁটের রং, কুমারী মেয়ের-
তাঁকানো ফুলতায় মায়ারী ঠোঁটে চুম্বন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন