আমি নইতো কোন যোদ্ধা, তবু
মনের সাথে করি যুদ্ধ,
চারদিকে সন্ত্রাস, হাইজ্যাক, খুন জখমে আবদ্ধ।
আমি নইতো কোন কবি, তবুও লিখে যাই-
আপন মনে সবার সবি।
আমি নইতো কোন চিত্রশিল্পি,
তুমি বাংলার প্রকৃতি করি অনুলিপি।
আমি নইতো কোন কন্ঠশিল্পি,
তবু মনের খেয়ালে গেয়ে যাই দুঃখ সুখের কপি।
আমি নইতো কোন রাখালির বাঁশী,
তবু বেজে চলেছে সুরের আকাশে-
সে শুধুই অভিনাষী।
আমি নইতো কোন ফাগুন বেলার কোকিল,
তবু ডাকি ক্ষণে ক্ষণে নেই তার মিল।
আমি নইতো কোন মায়ের যোগ্য সন্তান,
তবু আমার দায়িত্ব রাখিতে হবে মান।
আমি নইতা কোন সন্ত্রাসি-
তবু সেই পথে ধাবিত, কারণ
মায়ের মুখে আহার দিয়ে দেখিতে হাসি।
আমি নইতো কোন খুনি,
তবু খুন করি তাদের, যাদের জন্য-
সমাজ আজ কলংকিনি।
আমি চাই না হতে ক্ষমতাধর,
তবু চাই তাদের জন্য যারা-
পায় না খাবার পায় না কাপড়।
আমি চাইনা কৃত্রিম ভালবাসান্নিত,
তবু চাই তাদের, যারা আজ শত যন্ত্রনা-
দুঃখে কষ্টে জর্জরিত।
আমি নইতো কোন হিংস্রো প্রাণী,
তবু গর্জন আমার মাটি কাঁপানো-
এই ফুল মেলা অরণ্যে, অবাধ্যে প্রানহানী।
আমার নেই কোন মন দুঃখ কষ্ট বেদনায় আহত,
তবু চাই কারণ, সবাই আজ-
এ মর্ম কাতরে আক্রান্ত ।
আমি চাই আমার দেহ হবে লৌহের মত,
মায়ের চোখের জল মুছে দিব-
আছে যে কষ্টের ক্ষত।
আমি চাইনা দৃষ্টি,
সইতে পারবোনা মা বোনের আহাজারি-
আমি খেতে চাইনা অন্ন্ আহার,
যে অভাবে শতত মা কাঁদে দ্বারে দ্বার।
আমি চাইনা এই আলো বাতাস,
যাহা মুছিতে পারেনা আঁখি জল-
কোন সর্বনাষের আভাস।
আমি চাই বারেবার চাই সেই পরিবেশ
পূর্ণতা পাবে সকল মৌলিক চাহিদা, অশেষ।
তারিখ ও সময়:- ১৭/০৬/২০০৫, ১০-১০
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন