যে চোখে তুমি আমায় রাখোনি, আমি কী সেখানে থাকতে পারি?
হয়তো অসভ্য ছেলের মত বারেবারে বলব-
তোমায় ভালোবাসি, তোমায় ভালোবাসি।
আর তা শুনে তুমি হাসবে,
আশেপাশে কেউ থাকলে তাদেরকে ডেকে বলবে-
শোন রে তোরা, এই ফকিন্নির বাচ্চার কথা শোন,
ও নাকি আমায় ভালাবাসে !
আমি কী বলব তখন তোমায় ?
আমার পায়ের ছেঁড়া জুতা দিয়ে তোমার গালে থাপড় দিবো ?
নাকি অপমানের প্রতিশোধ নিতে উল্টো কিছু করব ?
আমি কিছুই করব না।
শুধু বলব, শুধু তুমি আমার চোখের জলের রংটা দেখো
তার ভিতরে কীসের চাওয়া কোন আবেশে তোমায় পেতে চায়
কোন রঙে রাঙাতে চেয়েছে।
আমি জানি একথা শুনেও তুমি হাসবে
আমার সকল কথাই তোমার কাছে হাসি দিয়ে উড়ানোর মত।
আর আমি ফিরে এসেছি, তোমার থেকে
কিন্তু আমার মনটাকে আনতে পারিনি
সে তোমার কাছেই আছে, পেছনে তাঁকিয়ে দেখো,
হয়তো তোমার চুলের খোপার আড়ালে জড়িয়ে আছে
তোমার নাকের নোলকের ভিতরে বসে আছে
তোমার চোখের চাহনিতে লুকিয়ে আছে।
কাল পেরিয়ে হয় কালান্তর
যুমনার জল শুকিয়ে তাতে জাগে চর
বালি অথবা মাটিরা তখন কাঁদে।
কীসের জন্য কাঁদে তা তারাই জানে,
আমি কাঁদি তখন অন্তহীন বেদনায়
একটা চুল্লির ভিতরে দাউ দাউ করে জ্বলি আর বলি-
হায় মেয়ে হায় নারী হায় প্রেমারী
হায় আমৃত্যু চাদর।
২৮-০১-২০১২
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন