(আমার বন্ধু মা হারা আবিরের প্রতি)
অন্য দিনের মত আজকের সকালেও মায়ের মুখটা দেখার সাধ ছিল,
জানালা বেয়ে মা আমায় বলতেন, আবির দুপুর তো হয়ে গেল, খাবি না ?
বৌখুদা তো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, তুই না গরম ছাড়া খাস না,
আমি দোপায় যাচ্ছি দেখি মাছ পাই কিনা !
আমি বরং আরও লেপ কাথা জড়িয়ে শুয়ে থাকতাম।
কি মজাই না লাগতো, সকালের ঘুমে।
আজও আমি তা জড়িয়ে শুয়ে আছি, কই ! মজা তো লাগছে না।
আর মাও তো আমায় বৌাখুদা খেতে ডাকছেন না।
রাতেও কিছূ খাই নি, রাতে অবশ্য রান্না করিনি, দুপুরের খাবারের কিছুটা ছিল।
পুঁটি মাছের ঝোল রেধেছিলাম।
পুঁটি মাছের ঝোল রান্না করা মায়ের কাছ থেকে শিখেছিলাম।
প্রথম রান্নায় লবন মরিচ কম বেশী হতো, পড়ে ঠিক হয়ে যায়।
সময়েরর দিকে তাঁকাতেই দেখি অফিসের সময় পেরিয়ে গেছে।
মন ভালো নেই, অফিসে যাবো কিনা ভাবছি !
মায়ের সেই ডাকাডাকি জানালাটার অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে গেছে,
আমি বিছানা ছেড়ে তাতে হাত রেখে ভাবনায় মায়ের দিকে তাঁকিয়ে আছি,
বলছি- মা, আজ কিন্তু গরম বৌখুদা খাবো !
০৫-০১-২০১২
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন