আমার বাড়ির দক্ষিণপাশের একটা বরই গাছ রোপন করেছিলাম,
ভেবেছিলাম ওর থেকে বরই পাবো,
তাও অনেক সময় পেরিয়ে গেছে।
মাঝেই মাঝেই তার পাতা ছাগল খেয়ে ফেলতো
একদিন তো মাথাটাই খেয়ে ফেলল।
আমি গাছের চারপাশে কাঁটার বেড়া দেওয়ার পরে আর খেতে পারেনি
গাছটার গোড়ায় নিয়মিত জল ঢালায় এক সময় তা আবার সুস্থ্য হয়ে ওঠে,
গাছটার মাথার নাগাল ছাগলের মুখ আর পেলো না।
গাছটা বড় হলেও বরই দিচ্ছে না,
আমি কী করব ? জল দেওয়া বন্ধ করে দিব ? না।
তারপর থেকে জল দিলেও মন থেকে ওকে আর চাইনি।
একদিন বাবা বলেন, বাজান !
নতুন ঘর দিতে হলে কাঠের দরকার,
তার চেয়ে বরই গাছটা চিঁড়লে অনেক কাঠ পাওয়া যাবে।
আমি বাবার কথার কোন জবাব না দিয়ে গাছটার কাছে গেলাম।
হাত বাড়িয়ে বললাম- বিশ্বাস কর বন্ধু,
আমি তোর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বাবার কাছে করিনি,
যার কারণে তিনি তোকে কাটতে চাচ্ছেন।
আমার হাতের তলায় ভেজা অনুভব করলাম,
এ কী ! হাতের তলা তো শুকনো ছিল।
আমার বুঝতে বাদ রইল না যে, বরই গাছটি নিজের মৃত্যুর ভরে কাঁদছে।
যেদিন বরই কেনার টাকা দিয়ে এই গাছটা কিনেছিলাম
আরও বেশী বরই পাবো বলে।
বরই পাওয়া হয়নি কিন্তু এক করুণ কাহিনী হতে যাচ্ছে।
আমি কী করব ! হয়তো বাবার কথাই ঠিক হবে।
কিছুদিন পরে ঐ গাছের তক্কায় বানানো চেয়ায়ে বসে থাকবো,
আমি না বসলেও আমার সন্তানরা বসবে।
২৯-০১-২০১২
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন