সেপ্টেম্বর 2016

কবি অ কবিতা

আজ আমার মন ভালো নেই, 
দখিনের বাতাস থেমে গেছে,
যতদূর এই চোখদ্বয় যাচ্ছে, 
মনে হচ্ছে সকল অস্বপ্নেরা আমার পানে দৌড়ে আসছে
জানালা বেয়ে প্রেমের বেলা, হাত মেলানো সময়, সব পিঙ্গল হয়ে গেছে
কোথাও কোন রুপ নেই, সকলই কেবল ধূয়া আর ধূয়া।
এই তো ক’দিন আগের কথা, নিজের লেখা কবিতাগুলো কত মধুর মনে হতো,
অবিরাম শুধু লিখেই যেতাম ।
    যাকে দেখাতাম সেই বলতো চালিয়ে যাও, সোনার পালঙ্কের দেখা পেয়ে যাবে।
আমি বলতাম, ওর জন্য তো কবিরা কবিতা লেখে না, মন চায় লেখে,
আপনি শিক্ষিত লোক, লেখেন না একটা ভালো কবিতা। 
পেতেও পারেন নোবেল সম্মান।
দু-হাত আমার জানালার রেলিং ধরে আছে,
 কি যেন নেই, কি নেই ?
টেবিলের কাছে গিয়ে দেখি, সকালে লেখা কবিতাটা সেখানেই পড়ে আছে,
কেউ নেয় নি কিংবা ছিঁড়ে ফেলে নি। 
কে ছিঁড়বে ! আমি লিখেছি আমারি ছিঁড়ে ফেলা উচিত।

                                                                  ০৫-০১-২০১২

কবিতা ও কবিতা


আমার বাড়ির দক্ষিণপাশের একটা বরই গাছ রোপন করেছিলাম,
ভেবেছিলাম ওর থেকে বরই পাবো,
তাও অনেক সময় পেরিয়ে গেছে।
মাঝেই মাঝেই তার পাতা ছাগল খেয়ে ফেলতো
একদিন তো মাথাটাই খেয়ে ফেলল।
আমি গাছের চারপাশে কাঁটার বেড়া দেওয়ার পরে আর খেতে পারেনি
গাছটার গোড়ায় নিয়মিত জল ঢালায় এক সময় তা আবার সুস্থ্য হয়ে ওঠে,
গাছটার মাথার নাগাল ছাগলের মুখ আর পেলো না।
গাছটা বড় হলেও বরই দিচ্ছে না,
আমি কী করব ? জল দেওয়া বন্ধ করে দিব ? না।
তারপর থেকে জল দিলেও মন থেকে ওকে আর চাইনি।
একদিন বাবা বলেন, বাজান !
নতুন ঘর দিতে হলে কাঠের দরকার,
তার চেয়ে বরই গাছটা চিঁড়লে অনেক কাঠ পাওয়া যাবে।
আমি বাবার কথার কোন জবাব না দিয়ে গাছটার কাছে গেলাম।
হাত বাড়িয়ে বললাম- বিশ্বাস কর বন্ধু,
আমি তোর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বাবার কাছে করিনি,
যার কারণে তিনি তোকে কাটতে চাচ্ছেন।
আমার হাতের তলায় ভেজা অনুভব করলাম,
এ কী ! হাতের তলা তো শুকনো ছিল।
আমার বুঝতে বাদ রইল না যে, বরই গাছটি নিজের মৃত্যুর ভরে কাঁদছে।
যেদিন বরই কেনার টাকা দিয়ে এই গাছটা কিনেছিলাম
আরও বেশী বরই পাবো বলে।
বরই পাওয়া হয়নি কিন্তু এক করুণ কাহিনী হতে যাচ্ছে।
 আমি কী করব ! হয়তো বাবার কথাই ঠিক হবে।
কিছুদিন পরে ঐ গাছের তক্কায় বানানো চেয়ায়ে বসে থাকবো,
আমি না বসলেও আমার সন্তানরা বসবে।



                        ২৯-০১-২০১২

কবি ও কবিতা

দূরে যাও, দূরেই তো আছি আমি
অদেখার দেয়াল হয়ে ভাঙনের সুরে সুরে,
কোন স্বপ্ন তো এখন আমায় রাঙায়না
ডাকে না হাত ইশারায়,
বলে না- এসো বন্ধু আপন আপনে।
সেই দুরন- বেলার কালগুলো আমার সাথে নেই,
সেই ফুল পাপিয়ার মন মনিহার
আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।
কিছূই তো দিয়ে যায় নি
আমি শুধু বুনেছি নতুন করে নতুনা,
বন্ধু ছাড়া কি নতুনা হয় ? হয় না।
যে নতুনায় আমি আবদ্ধ তা এক নিছক ঘর,
যে ঘরে আমি অস্বপ্ন আঁকি;
স্বপ্ন আঁকা তো ভূলের ছিল।
                                                                  ২৯-১১-২০১১

কবি ও কবিতা

স্বাধীনতাকে আমি দেখেছি...
শীতের সকালে কুয়াশার সাদা চাদরে
পৃথিবীর বুকে একাকারে
গরম কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে
মুখ থেকে বের হওয়া ভাপে
কাথার ভিতরে লুকিয়ে থাকা আরামে।

স্বাধীনতাকে আমি দেখেছি...
বক পক্ষির লম্বা লম্বা ঠোঁটে
সম্মুখ দিকে মেলে উড়ে চলা
দল বেঁধে হাজারো কক কক শব্দে,
গন্তব্য যাত্রায় ঝগড়াহীন
শৃংখল নমুনায়।

স্বাধীনতাকে আমি দেখেছি...
বাতাসের মাঝে বাতাস খেলে
নারীর মাথার চুল উড়াউড়ি করে
গিয়ে পড়ে জমিনের বুকে লুকিয়ে
থাকা সাত আসমান শান্তির ইশারায়
বেঁচে থাকার আশায়।

স্বাধীনতাকে আমি দেখেছি...
নর নারীর একত্র ঠোঁটের রসে
ঝাঁঝালো তৃপ্তির অসীম বাঁধনে
লেগে থাকা অবিচ্ছেদ অংশে
সার্থক জন্ম নেওয়ার কথা জানার
জন্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ায়।
                        ০৫-১২-২০১১

কবি ও কবিতা
আমার এক হাতে আগুন আরেক হাতে জল,
হাত দুটো যদি দুপাশে নিয়ে রাখি
তবে তার মধ্যের ফাঁরাক অংশ অনেক হয়ে যায়।
আমি সেখানে স্বাধীনতা রেখেছি,
বহু যতনে মুড়ির মোড়া, চিড়ার মোড়া খাওয়ায়ে ঘুম পাড়ায়ে রেখেছি।
ও শুধূ খেতে চায়, খাই খাই করে।
এতো খাবার পাই কোথায় ?
ও কি রসগোল্লা সন্দেশ চমচম সাথে করে নিয়ে এসেছে ?
কই আমার হাতে তো দিল না।
লুকিয়ে লুকিয়ে খাচ্ছে বুঝি ?
দেখিতো  এখন কি করে ?
হায় আল্লাহ্‌ ! কে যেন আমার দু হাতই ভেঙে দিয়েছে।
এমন কাজ কে করলো ?
মানুষ ছাড়া কেউ নয়।
নিজেরা কি নিজেদেরকে মারতে পারে ?
স্বাধীনতা আমাদের সবার মাঝে রক্ত সত্তা
  আমরা কি তা ভূলে যাচ্ছি কিংবা মুছে ফেলছি ?

কবি ও কবিতা

আমি কথা বলি যে ভাষায়, আমি চিৎকার করি যে ভাষায়
গান গাই সুর তুলি গিটারের তারগুলায়
মায়ের ভাষা প্রিয় ভাষা তাতো মোদের বাংলা ভাষা (।।)

ভুলি নাই ভুলব না ওগো ভাইয়েরা
দিয়েছো যে রক্ত বুকে নিয়ে আশা,
মনে রবে, রাখব কালে কালে
সৃজনে পূজনে করি হৃদরের নেশা।
আমি কথা------------------------তাতো মোদের বাংলা ভাষা  (।।)

মনে আছে ওগো মা ভুলি নাই ভুলব না
রাজপথে লাল রক্তের দশা,
মহাকাল জেনেছে স্বরণে রেখেছে
কথা দিলাম রাখব ভাষার মান দিয়ে ভালোবাসা।
আমি কথা------------------------তাতো মোদের বাংলা ভাষা  (।।)

ওগো মা তুমি প্রিয় তার চেয়ে ভাষা প্রিয়
সে ভাষার লাগি গেল জীবনের বাসা,
মা মা বলে ডাকি শুনতে কী পাওনা ?
এর চেয়ে কী করো জীবনে তুমি আশা ?
আমি কথা------------------------তাতো মোদের বাংলা ভাষা  (।।)

২১-০২-২০১২

কবি ও কবিতা

জানি আমি চলে যাবো এই ক্ষণিকের আবাস ফেলে
পত্র মিতালে যত হবে লেনাদেনা, যত হবে ঘাস ফড়িং এর সাথে খেলা
সকল আশার দুয়ারে ছাই পড়বে
টুটে যাবে অটুট বন্ধন, ভেঙে যাবে এ খেলাঘর।
কে আমি ও আমরা রবে না তার কোন চিহ্ন,
কোথা থেকে এসেছিলাম কার পেটে ছিলাম !
 তিনি তো ধরে রাখতে পারবেন না,
তিনি নিজেও চলে যাবেন।
কোথায় এই মায়ার বন্ধন, কোথায় স্বজন প্রিতি ?
সকলই মূল্যহীন পয়ারে যাবে ধ্বঃশে  মিশে।
মজেছিলাম মিছে আবেশে এই ধরনীতে যাযাবর অথবা স্বাভাবিকে,
কেউ থাকেনি, তাদের যতজন এসেছে কালে কালে কালের কালান্তে,
সবাই গেছে মরণের সাথে মাটিতে।
তাহলে আমি তো থাকার যোগ্য নই।
এই কাল এই জমিন তোমরাও কী চলে যাবে তিন হাত মাটির নিচে ?
 কিছুই বুঝিনা না বুঝার ছলে,
আকাশের পানে তাঁকিয়ে বলি- এই আকাশটাও কী কবরে যেতে পারবে ?
অবুঝ কালে তুমি যে যুবক ! না বুঝার কথা বলো কেন ?
কবর শুধু মানবের জন্য, পরপারের হিসেবটাও তাদের জন্য।
কথা শুনে আমার মনটা উথলে উঠে,
কেঁদে কেঁদে ঘরে গিয়ে দেখি আমার ঘরে সাপে ভরে গেছে।
সাপ কেন ? বুঝতে পারলাম, এই জীবনের
কিছূ না করার ফলাফল স্রষ্টা এখনি দেখাচ্ছে।
মুহূর্তেই ওরা আমায় জাপসে ধরলো।
আমি মাকে ডাকছি, মা আসেনি, তিনি তো আগেই চলে গেছেন।

২১-০২-২০১২

কবি ও কবিতা

আমি ঘুমিয়ে থাকি এই আঙ্গিনার পথ ধরে,
আপনজন ছাড়া আবেশে।
এখানের পাথরেরা আমার সাথে কথা বলে না,
বালির স'পগুলো আমার সাথে খেলায় মজে না,
এখানের কালো মানুষগুলোর মনটাই কালো ?
কিন্তু আমি তো আপন হয়ে মিশতে চাই,
আত্মার দামে আত্মা ধরতে চাই।
ওরা বড় বড় চোখ বের করে আমার দিকে তাঁকায়
দাঁত বের করে হাসতে থাকে।
কখনও আমার মুখের কাছে এসে থূঁ থূঁ দিয়ে যায়,
আমি আমার ছোট ভাইয়ের থূঁ থূঁ ভেবে রাগ করি না,
ছোট বেলায় সে আমার সাথে কত অমন করেছে।
হঠাৎ করেই তাদের একজন এসে আমার গায়ে চিমটি কেটে-
 ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়,
আমি এর কোন অর্থ বুঝিনা।
তবুও ভালোভাবে তাদেরকে আপন করে নিতে চাই,
ভাবি, যে আপনজনের কাছে আমি নেই, তোমরা তো সেই আপনজন।

কবি ও কবিতা

একটু স্বপ্ন দেখাও, একবারের জন্য শুধু এক মুটো স্বপ্ন
যার ওপর ভর করে-
কিছুটা সময় না হয় ব্যর্থ যাত্রায় পার করব,
জীবনের এই সংকট মহূর্তে একটা
সীমানায় যাওয়া অবশ্যক,
তা হোক কালোকাল অথবা রঙের কাল।
আমি জানি আমার ভাগ্যে পরেরটা নেই
তবুও তাকে ভাবতে দোষটা কোথায় !
পরাণের পরাণে মিলতে কী আমার সাধ হয় না !
ধুপ ছায়ার তলে আর কতকাল অর্ধমরণে ঝিমাবো ?
আর তো মন মানে না,
যেতে চায় তোমার কাছে, প্রেমের বুকে।
আচ্ছা তুমি এখন কেমন আছো ?
বৈবাহিক জীবনটা কী অনেক মধূর হয় ?
আমার কথা কী একদম ভুলে গেছো ?
ভূলে যাওয়ার আবেশে না হয় একটু মনে রেখো
খাতার পাতায় অপু নামটা লিখে আবার কেটে দিও
তবুও ভেবে নেবো আমায় ভেবেছো।
এখন সময় সকাল দশটা
সকালের নাস্তা এখনো সারিনি
তোমার কথা মনে হল, তাই এই অকথা লেখা,
এই পাগলের পাগলামি বাণী।
বাতাসের বুক থেকে একটা ঝাপসা বাতাস
 সে আমায় বলছে, এই পোলা !
নাস্তা বাদ দিয়ে অন্যের বউকে নিয়ে ভাবনা
করা খুবই খারাপ কাজ।  তুমি বলো, তুমি কী আমার কেউ না ?
তোমাকে নিয়ে ভাবার কোন অধিকার নেই ?


১৯-০২-২০১২

কবি ও কবিতা

তুই কীসের কবি হলি, কোন পত্রিকায় তো তোর
কবিতা ছাপা হল না,
সারা জীবন লিখেই গেলি, কী ছাই বাসি লেখিস ?
ঐ সব বাদি দিয়ে কাজে লেগে পড়,
ক্ষেতে খামারে কাজ করলে কিছু পাবি।
এক গাদা ডায়েরির পাতা লিখে ভরে কোন লাভ নেই।
পুরানো কবিদের মান নেই নতুন কবিদের ছড়াছড়ি ?
আমার চোখ জল ভরে যায়।
আমি লোকটির থেকে সরে একা ভাবছি,
কে বলেছে কবিতা ছাপা হয় না !
সেদিনও তো  “মা, আজ কিন্তু গরম বৌখুদা খাবো”!
কবিতাটা ছাপা হল।
নাহ্‌ মানুষের কথায় দমে যাওয়া চলবে না।
হঠাৎ করে তো নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ ও
আল মাহমুদ হওয়া যাবে না।
নজরুল কী আগেই জানতেন তাঁর মনে
নজরুল আছে ? সে কী জানতেন তিনি বিদ্রোহী
কবি হবেন ? জানতেন না।
আমার মাঝেও ভিন্ন আমি থাকতে পারে,
যা কিনা অন্যতম একজন সাহিত্যিকের দাবিদার রাখবে।
ইত্যিমধ্যে দুটো গল্পও পত্রিকায় ছাপা হয়েছে আমার।
এখন উপন্যাস ছাপানোর জন্য অফিসে কপি জমা দিয়েছি,
হয়তো হঠাৎ করে এক দিন হয়ে যাবে।
তখন নিন্দুকেরা বলার কিছূ পাবে না।
অচেনা কবি হয়ে যাবে জনে জনের কবি।
                   
                                ২২-০২-২০১২

কবি ও কবিতা

যে চোখে তুমি আমায় রাখোনি, আমি কী সেখানে থাকতে পারি?
হয়তো অসভ্য ছেলের মত বারেবারে বলব-
তোমায় ভালোবাসি, তোমায় ভালোবাসি।
আর তা শুনে তুমি হাসবে,
আশেপাশে কেউ থাকলে তাদেরকে ডেকে বলবে-
শোন রে তোরা, এই ফকিন্নির বাচ্চার কথা শোন,
ও নাকি আমায় ভালাবাসে !
আমি কী বলব তখন তোমায় ?
আমার পায়ের ছেঁড়া জুতা দিয়ে তোমার গালে থাপড় দিবো ?
নাকি অপমানের প্রতিশোধ নিতে উল্টো কিছু করব ?
 আমি কিছুই করব না।
শুধু বলব, শুধু তুমি আমার চোখের জলের রংটা দেখো
তার ভিতরে কীসের চাওয়া কোন আবেশে তোমায় পেতে চায়
কোন রঙে রাঙাতে চেয়েছে।
আমি জানি একথা শুনেও তুমি হাসবে
আমার সকল কথাই তোমার কাছে হাসি দিয়ে উড়ানোর মত।

আর আমি ফিরে এসেছি, তোমার থেকে
কিন্তু আমার মনটাকে আনতে পারিনি
সে তোমার কাছেই আছে, পেছনে তাঁকিয়ে দেখো,
হয়তো তোমার চুলের খোপার আড়ালে জড়িয়ে আছে
তোমার নাকের নোলকের ভিতরে বসে আছে
তোমার চোখের চাহনিতে লুকিয়ে আছে।

কাল পেরিয়ে হয় কালান্তর
যুমনার জল শুকিয়ে তাতে জাগে চর
বালি অথবা মাটিরা তখন কাঁদে।
কীসের জন্য কাঁদে তা তারাই জানে,
আমি কাঁদি তখন অন্তহীন বেদনায়
একটা চুল্লির ভিতরে দাউ দাউ করে জ্বলি আর বলি-
হায় মেয়ে হায় নারী হায় প্রেমারী
হায় আমৃত্যু চাদর।



                        ২৮-০১-২০১২

কবি ও কবিতা

মনে পড়ে তাকে
সময়ে অসময়ে কারণে অকারণে
ভালো কিংবা খারাপেও যখন থাকি।
মনে পড়ে তাকে
অদেখার নীল দহনে জ্বলা কামনায়
জ্বলে পুড়ে ছাই হলেও।
মনে পড়ে তাকে
হারিয়ে যাওয়া প্রেমময়ীর প্রেম
আবার নিজের করে পাবার আশায়।
মনে পড়ে তাকে
প্রেমের দেউলিয়াপনায় ভর করে
হেঁটে হেঁটে পিপাসার বালুচরে।
মনে পড়ে তাকে
ভুলে যাওয়া আশে কামনায়
জল ছবির ভিতরে মরিমহে।
মনে পড়ে তাকে
তার মধুর পিয়াসার ভাঁজে ভাঁজে
চমকিত গরম সাদা রসে মজতে।
মনে পড়ে তাকে
না দেখার অভিপ্রায়ে সদাক্ষণে
তোলপার হয় বুকের ভিতরে যবুথবু।
মনে পড়ে তাকে
সে কী ভালো আছে অন্যের কাছে !
তার সত্যিকার চেতনার মিলন তিথিরে !
মনে পড়ে তাকে
আজ এখন এই আমার দুঃসময়ে
প্রিয় বান্ধবীর মুখখানি দেখার আশে।


                                                       ১৭-১১-২০১১

কবি ও কবিতা
আমি যখন স্বাধীনতার কথা বলি
তখন আমার শরীরের সবগুলো পশম
আমার মুখের দিকে তাঁকিয়ে রয়,
আমি সত্যি ভয় পাই, বলি-
 তোমাদের হাতে কি বন্দুক আছে ?
ওরা বলে নেই।
নেই কে ? এমন-
কথা জবাবে দেখি ওর কাঁদতে থাকে,
আমার হাতে তো রুমাল নেই,
এই লও এক খন্ড শান্তি দিলাম
মায়ের কাপড়ের আঁচল কেটে বানিয়েছি।
মা নেই কিন্তু তাঁর অনেকগুলো কাপড় রয়ে গেছে
তা দিয়ে তো কাথা বানিয়ে মায়ের সম্মান কমাতে পারবোনা
তাই এই বুকে রাখি।
কখনও কাঁদলে কিংবা ঘেমে গেলে উহা দিয়ে মুছি
মা তো আমার কান্না হলে আঁচল দিয়েই চোখ মুছে দিতেন
রোদে থেকে বাড়ি ফিরলে গায়ের ঘাম মুছে দিতেন।
তোমরা কিছু বলছো না কেন ?
এমন প্রশ্নে ওরা বলল-
আমাদের মা তো তাও রেখে যান নি। রাখবে কেমনে ?
 শুয়রের বাচ্চারা তো মাকে মেরে সব লুটপাট করেছে।
এখন ভয় ওরা কি তার মধ্যে পেচছাব করবে ?
আমি বললাম আর ওসব ভেবে লাভ নেই,
চলো সবাই এখন যে মা’রা বাংলার জমিনে আছেন
তাঁদেরকে বুঝতে চেষ্টা করি
শান্তিতে দিন যাপন করি।
                                           ০৬-১২-২০১১

কবি ও কবিতা

মেঘর নয়, তবুও কালো ফনা তোলে তেড়ে আসে,
এ যেন এক মহা হুঙ্কার।
চারদিকে কেউ আছো, তবে পালাও,
এবার বুঝি আর রক্ষে নেই।
কী করবে ঐ ফনা ?
কী করার ক্ষমতা আছে ওর ?
একবার দাঁড়িয়ে থেকে দেখি না !
আমরাও যদি অমন ভাব দেখাতে পারি !
আকাশটা কালো হয়ে যায় না, কিন্তু ?
তা এক শক্ত খর্গজ নয়তো ?
হাত দিয়ে দেখতে গেলেই কাহিনী হবে
কাহিনীটা বৈধ নয়তো অবৈধ হবে,
উহার মাঝেই জীবের জীবন- মনিহার থাকে।
সকালটা হয় ফূলের মত,
রাত্রীটা হয় কালোর মত,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে গর্জন হয়,
তা তো কোন বৃথাই কারাবর নয়,
ফূল কলির কাহিনী মাত্র।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে নাও দোলে, ঢেউও দোলে
কী এক কূলে মজার পতাকা !

০৯-০১-২০১২


কবি ও কবিতা

(আমার বন্ধু মা হারা আবিরের প্রতি)

অন্য দিনের মত আজকের সকালেও মায়ের মুখটা দেখার সাধ ছিল,
জানালা বেয়ে মা আমায় বলতেন, আবির দুপুর তো হয়ে গেল, খাবি না ?
বৌখুদা তো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, তুই না গরম ছাড়া খাস না,
আমি দোপায় যাচ্ছি দেখি মাছ পাই কিনা !
আমি বরং আরও লেপ কাথা জড়িয়ে শুয়ে থাকতাম।
কি মজাই না লাগতো, সকালের ঘুমে।
আজও আমি তা জড়িয়ে শুয়ে আছি, কই ! মজা তো লাগছে না।
আর মাও তো আমায় বৌাখুদা খেতে ডাকছেন না।
রাতেও কিছূ খাই নি, রাতে অবশ্য রান্না করিনি, দুপুরের খাবারের কিছুটা ছিল।
পুঁটি মাছের ঝোল রেধেছিলাম।
পুঁটি মাছের ঝোল রান্না করা মায়ের কাছ থেকে শিখেছিলাম।
প্রথম রান্নায় লবন মরিচ কম বেশী হতো, পড়ে ঠিক হয়ে যায়।
সময়েরর দিকে তাঁকাতেই দেখি অফিসের সময় পেরিয়ে গেছে।
মন ভালো নেই, অফিসে যাবো কিনা ভাবছি !
মায়ের সেই ডাকাডাকি জানালাটার অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে গেছে,
আমি বিছানা ছেড়ে তাতে হাত রেখে ভাবনায় মায়ের দিকে তাঁকিয়ে আছি,
বলছি- মা, আজ কিন্তু গরম বৌখুদা খাবো !
                                      ০৫-০১-২০১২



sislam8405

{Facebook#https://www.facebook.com}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget