আগস্ট 2017

   জোছনা ভরা রাতে আমি তোমার গান শুনিতে চাই
গানের সুরে দহন লাগে তাইতো ফিরে যাই-
শূন্য মনে একলা ঘরে তোমায় শুধু ভাবি
এই হৃদয়ে আঁকা আছে যতনে তোমার ছবি,
তোমায় ভেবে গাঁথি মালা একটি ফুলের কলি
ওগো কন্যা আমায় রেখে কই যাও চলি
কবিওকবিতা

আসবে তুমি আমার ঘরে লাল শাড়ি গায়ে মেহেদি পড়ে
তোমার লাগী অনেক আশা যাবে কি তবে ঝরে ?
এই কাননে ফুলের মেলা যায় যে বয়ে অথৈই বেলা
তবুও তোমার আশায় আছি দিওনা অবহেলা
প্রদীপখানি নিভে গেলে কেমনে তোমার দেখা পাবো-
সাগর জলে ভেসে বেড়ানোর সাধ কভুনা মিটিবো
জানালার ধারে চোখের কোনায় ভাসে তোমার মুখখানি
লাজুক লতা কমলি হাতের পরশ ভুলেতো আমি যাইনি
শ্যামলে মাখা অঙ্গ তোমার বন্দরে দিলাম ভাসিয়া ভেলা
আমার ঘাটে অপেক্ষা করো চলিবে প্রেমের গতি চলা,
আমার দলে আমি রহিলাম তোমার আসার পালা
আলো ফুরিয়ে আঁধার এলো গভীর রজনী বেলা।
গগণের বুকে উঠেছিল সারি সারি তাঁরা
জানালার মত আরাল হল দিলনা আর যে সাড়া
শুনিনি আমি আর কোন দিন রজনী প্রহর মাঝে
রং বাহারীর সুর বয়ে যায় ঢাক ঢোল না বাজে,
তুমি নেই কাছে জীবনের মাঝে কিবা জীবনে আছে
দুঃখগুলো সাথী আমার আছে পিছে পিছে
নীরব ক্ষণে নির্জন মনে বিরহ বেদনার আভাস
কারো আছে বকুলেরর সুভাস আমার মেঘলা আকাশ।
                                                           তারিখ ও সময়:- ২৫-০৩-২০০৬,  ১১/১৫

    কোন দিন যদি কারো নীল আকাশটা-
দেখার ভাগ্য না জোটে,
তাহলে সৃর্য্য কিভাবে উদয় হয় ?
কিভাবে বিকেল গড়িয়ে অস্ত যায় ?
চাঁদের চেয়ে সৃর্য্য কেন বেশী আলোকিত ?
তাঁরাগুলো জোছনা রাতে মিটি মিটি করে ?
কিন্তু দিনের বেলায় নেই,
 তা জানার ভাবনা এই সব জাগবেনা ।

আর যদি চোখের দেখা মুক্ত মনে-
সবই ভাবনায় থাকতো-
তাহলে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগতো । 
কবিওকবিতা
আমি নারীর প্রেমে দিওয়ানা,
তাইতো আমার তার মধ্যে সবই
জানা শুনার সন্নিহিকটে,
দুঃখ কাহারে বলে ?
কষ্টের দৌড় কতটুকু ?
নজরে নজর রাখিবার পর-
কি পরিস্থিতির উদয় হয়,
তাহা উভয়ের জানা শোনার স্পর্শে
সর্বদাই হৃদয়ের মাঝে আনাগোনা হয়।

ভালবাসা কখনো কাউকে
যে কোন অজানা পথে নিয়ে যেতে পারে,
যেমন; আমি বিরহের দলে
কন্যা আমায় আপন ভাবতে পারেনি
যে আকর্ষণে আমি ঐ পথে গিয়েছি
তাহার সবই কন্যার জানা,
তবুও তার প্রতি আমার প্রেমের
পালতোলা নৌকা ঘাটে ভিড়ে,
সে লগি বৈঠার আওয়াজ পায়,
কিন্তু না শোনার ভাব করে।

গভীর রজনীতে যে পায়ের শব্দ-
কন্যা তুমি ক্ষণে ক্ষণে পাও
তা কিন্তু শুধুই আমি,
আমার তোমার কাছে আসতেই হয়।
ভালবসি বলেই তোমার গান
শোনার বারেবার ইচ্ছে জাগে,
নাকের নোলক নাড়িয়ে অভিমান-
করে চলে যাবার দৃশ্য,
আমার বুকে ব্যাথা বাড়ায় ।
সারি সারি তোমার চুলের ভাঁজে
আমার ভালবাসা বান্ধা পড়েছে,
তাই আমি ফিরে আসি
বেদনা যদিও আমায় আঘাত করে ।
ভালবাসি বলেই
তোমার বলা কর্কট কথা
আমার দুঃখ ধোয়ে নেয়।
                                তারিখ ও সময়:-  ২৭-০২-২০০৬,  ২৩/৫০

        
কবিওকবিতা
দখিনের বাতাসে মিশে আছে নারগিছ-
ফুলের চঞ্চলা রুমঝুম আকর্ষণ,
সন্ধামালতী দিয়ে যায় অসীম-
দূরত্বকে কাছে নেওয়ার স্বপ্ন আশার শয়ণ,
নীরবতার মাঝে কোকিলের কূহু কূহু
সুরেলা গানে মনে উল্লাস আসে,
ভাবনায় জাগে কে যেন হাত ইশারায় ডাকে
তাঁকিয়ে তবুও দেখেনা কে আছে পাশে,
মন খারাপ হওয়াার কোন বিবর্ণ রং
চারিপাশে দেখা যায়না,
তবুও তাহার নীরবতা রয়ে গেল,
দোলা লাগিলো না তাহার মনে,
কোন প্রশান্তির পরশ বেয়ে
তাহার নয়ন দেখেনি চাহিয়া
বাহির পানে কি উজ্জলিত,
কে তাহারে বরণ করিতে প্রস্তুত,
তবুও নীরব দেহ, এক বিশেষ-
ভঙ্গিমায় অন্য পানে দৃষ্টি রাখিলো
কোন শব্দ তাহারে অন্য পানে
ফিরে আনিতে পারিলো না,
পা দু-খানি হাঁটতেছে
মনে হয় কেউ জোর করে ধাক্কাচ্ছে
তবুও পাল্টা বাধার চেষ্টা করিলোনা
মশামাছি গুলো চামরার উপর প্রলেপের-
মত জড়িয়ে আছে
তবুও হাত নড়েনি তাহার
কেউতো বেঁধে রাখেনি হস্তদ্বয় ।

এই বর্ণনায় আবদ্ধ পদার্থটি কি ?
কোন মানুষ হতে পারে ?
আমার মতে মানুষ নয়
হয়তো ছিল কোন এক বিশেষ মহিমায়
তাহার বাহ্যিক ভিতরের গঠন ঠিকই আছে
কিন্তু ভাব ভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে
সে কখন খায় ঘুমায় ?
আমার চোখের দেখায় পড়েনি
তাহলে কিভাবে দেহে কার্য চলে ?
নাক মুখ চোখ হাত পা মাথা পেট
সবই ঠিক আছে
তবুও সে কেন তাহার অস্তিত্ব
প্রকাশনে রুপ দেয়না ?
তাইতো তাহারে আমি মানুষ বলিতে অনিহা
জীবন এ সে আছে কিনা, নয়তো অনড় পদার্থ।
                                                তারিখ ও সময়:- ০১-০২-২০০৬, ২৩-৪০

কবিওকবিতা
সবুজ চাদরের মাঝে লাল বৃত্তের আশায়  
গীতিকার একখানি গান রচনা করিলো
সুরকার তাহা সুরে রাঙাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়িলো
কিছুকেই সুর আর সুরের রুপে হচ্ছে না
মিউজিকের কমতি ছিল না
তবুও গানটি মনের মত হলনা ।
শিল্পির কন্ঠে গানের বিকৃতি রুপ-
মানুষের মন নাড়াতে পারিলোনা।
গানের কথাগুলোর কোন অর্থ-
কেউকি খোঁজে পেয়েছে ?
আমার মনে অনেক সন্দেহ হল !
সুরকার সুর সম্পর্কে কোন ধারণা-
রাখিয়াছে কিনা জানি না ?
হয়তো তিনি সরকারী নিয়োগ প্রাপ্ত সুরকার !
ছিল না কোন যোগ্যতার মাপকাঠি।
আর যিনি লিখিয়াছে গান-
তিনি মনে হয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধি,
বর্ণ অক্ষরগুলো সঠিক ভাবে
খাতার পাতায় বসাননি,
তাই বিকৃতি শব্দ উচ্চারণ হয়েছিল
যার কারণে গান আর গান থাকিলো না
ধিক্কার বাণীতে পরিণত হল।

স্বাধীনতা কথার অর্থ জানেন কি ?
হয়তো আমি ক্ষুদ্র পরিসরে জানি, কিন্তু
আপনাদের কারো ভালো ভাবে জানার কথা।
অনেক মুক্তিসেনা আজও বেঁচে আছে
তারা হানাদার দলের মাথা নত দেখেছে,
দূর থেকে রেড়িওতে শুনেছে।
মুক্তিকামি মানুষগুলোর অনেকেরই-
পূর্বে বন্দুক চালানোর যোগ্যতা ছিলনা
তাদের যোগ্যতার চেয়ে মনের সাহস-
লক্ষ গুণে বেশী ছিল,
চোখে ছিল আলো ঝলমল
যার দ্বারা অন্ধকার মারিয়ে নিত।

কিন্তু সুরকারের না আছে গিটারের ধারণা
না আছে গানের রং ঢং জানা,
তবুও তিনি উচ্চ পদের সুরকার,
কিবা আশা করা যায় তার থেকে ?
বরং সঙ্গিত রক্ষা করা হবে কঠিন।

কেউ মুক্তির জন্য যুদ্ধ করে হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা,
কেউ মুক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়ে হয়েছে মুক্তিসেনা।
সবার গায়ের রক্ত লাল,
কেমনে চেনা যায় ?
তবুও বাংলার বুক স্বাধীনতা পেয়েছিল।
আমি পড়েছি, বইয়ের পাতায় পাতায় লেখা আছে,
পুরানো মানুষের কথা থেকে জেনেছি,
যার প্রতিফলে দিপ্তমান হয়েছে-
মুক্তিসেনাদের ঘরে আজ অনাহারির-
সারি সারি দুঃখ তলা;
টিনের থালা হাতে দূয়ারে দূয়ারে-
এ কেমন হাটা চলা।

আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগে নাকি ?
জাগিতে নাহি পারে, কারণ-
আপনি যদি অন্ধ গীতিকার হয়ে-
এলোমেলো বর্ণে সাজানো গান লেখেন
তাহলে তাহা স্বাভাবিক সম্ভব-
হয়েছে বাংলায় স্বাধীনতা আনা।
আমার চোখে এখনো সবুজের-
সুবিশাল চাদর নজরে পড়েনি,
লাল বৃত্ত কিভাবে আসিবে ?

আপনি কি দেখেছেন মুক্ত মনে-
সবুজের ভিতরে লাল বৃত্তসহ পতাকা-
উল্লাসিত ভাবে উড়তে ?
হয়তো দেখেছেন , যদি আপনার না দেখেও 
দেখার যোগ্যতা থাকে।
নয় মাস কেন ? এই বাংলার মাটিতে-
নয় দিনে স্বাধীনতা আনা যেত,
যদি না থাকিতো তারা, বর্তমানে যাদের 
অনেকেই মুক্তিযুদ্ধা দলে নাম লেখানো।
উঁচু উঁচু দালান কোটা
উপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে
যে সময় লাগে, গরিবদের তিন বেলা-
খাবার খেতেও তার কম সময় লাগে।
বয়স বেটার পঁয়ত্রিশ ছুঁই ছুঁই
অথচ তিনি নাকি ছিলেন
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান নেতা।
বিশ্বাস করিতেই হয়,
বিধাতার অনিয়মে সে যদি কখনও
মায়ের গর্ভে থেকেই বিশ বছরের-
দেহ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে,
তাহলে তাহা স্বাভাবিক সম্ভব।
পরীক্ষায় পাসের সনদে লেখা আছে
তিনি নাকি ৩০শে ফেব্র্রুয়ারীতে জন্ম নেয়।

তারিখ ও সময়:- ০৩-০২-২০০৬,  ১০/২৮         

কবিওকবিতা
আমি ধ্বংস,
চুরমার করি সব, উলুটপালট দাবানলের দহনে
উপুরে দেই সকল কালোকাল,
সকল অশান্ত রুপের রুপকার, জ্বলে দাউদাউ,
ক্লান্ত পথিক আমি বুকে নিয়ে স্বপ্নের সঙ্গম,
নিপাত করব সকল খুন জখম ধর্ষণ,
পিপাসার কোলে দিতে শান্তনা,
আমি আঁকবো সৃষ্টি সুখের উল্লাস।

২০. আমি সত্যে,
মিথ্যের সাথে আমি আপস করি নাকো,
কালে কালে এই প্রতিজ্ঞায় আমি অনড়,
মহাকালের আঙ্গিনায় একটা সত্যের পতাকায়
ভর করে আমি চলেছি,
যাচ্ছি, যাবো, জানি না কী পাবো ?
তবে তা কম হলেও, মুক্তির দলিল নিয়ে
বুক ফুলিয়ে যাবো জান্নাতের দুয়ারে। 

২১. আমি দূর্বার,
ছুটে চলার নায়ে থামি নাকো কভু, রণভূমে-
মরণের সাথে আলিঙ্গনে মৃত্যুকে করি আপন, 
জোড় কদমে চলি অসীম পথে;
বহুদিনের এই পথে আমার উন্নত তরী ভাসায়ে
আবিস্কার করি মহাপ্রলয়,
সেখানে যা থাকে তা কেবলই-
মানুষের কল্যাণের কল্যাণ কিছু। 

কবিওকবিতা
আমি জাগ্রত,
ঘুমানো বেলা আর তো নেই, সময় যে ফুরিয়ে যায়
সময়ের দড়ি টেনে ধরা আর নয়,
কখনো ছিল না, থাকবে না,
কিছু রোজগার করি, ভরানো চাই থলে,
ভালো থাকার ছলে, স্রষ্টার সন্তুষ্টি,
ঘুমাতে গেলেই সকল পাওয়া মিছে হতে পারে,
আর পাবো না সময়।

১৭. আমি দূর্মর,
কতবার তো মরিলাম, আমরণের গোড়ে
কেউ আমায় সত্যিকারে মারতে পাওে না,
বারে বারে ফিরে আসি এই বাংলায়,
এই বাংলার পথে ঘাটের প্রতিটি বালুকণায়,
জল তরঙ্গে মিশে আছি আমি হাজার বছর ধরে,
আরও থাকতে চাই, কেউ আমায় পর করো না,
দোহাই আমার এই কথা রাখো।

১৮. আমি মুক্ত,
ফিঙ্গে মাতন দোলায় আমি ঐরাবতের বুকে
ভর করে চলে যাই অজানার দেশে,
আমায় ফেরায় কে ?
আমি মানি না কো কোন বাধা
কোন বদ্ধতার ক্ষুদ্রতম আবেশ,
যেতে থাকি সামনের দিকে, তাঁকাই না তো পেছনে,
হোকনা তা আমারি আপনের আপন।

কবিওকবিতা
আমি চঞ্চল,
জীবনানন্দের কবিতার সব ক’টা লাইন
জুড়ে আমি বনলতা সেনের প্রেমী,
রক্ত চক্ষুর ফোয়ারে দেখা বন্ধন কঠিনিয়ার-
নিগাঢ়ে এক শ্যামল তরুলতা,
ছড়িয়ে দিয়েছি আমায় হাসিমাখা জীবনের
 সাথে আলিঙ্গনের সুখে
আমৃত্যু দশার মরণ কামড়ে।

১৪. আমি মানুষের রক্তে,
মানবের সাথে মনুষত্বের দুয়ারে মেলানো
এক খন্ড মাটি দিয়ে গড়া রক্তের
পরিচয়ে স্রষ্টার শ্রেষ্ট সৃষ্টি,
নইতো অমঙ্গলে আশে পথ চলার দায়ে
 বিমুখী হয়ে কারো ক্ষতি করার তুখোড় প্রণয়ে-
বেঁচে থাকার অদম্য সাহস নিয়ে
ব্যর্থ ভাবে অবশেষে পরিপাটি।

১৫. আমি হিম্মতে,
তিন কোটি বছর ধরে জেগে আছি,
কালে কালে লোহার জুতো পড়ে ঘুরে বেড়াই
সত্য সাহসের আলো নিয়ে,
দেখাতে চাই সোজা পথের পথেই
শুধু আমরা মানব থাকতে এসেছি,
কোন বিপথে যাওয়া আমাদের কাম্য নয়,
এ আমার নয় শুধু কথা।

কবিওকবিতা
আমি হিমাদ্রী,
 নজরম্নলের বাহুবিলস্না, ছমছম কঠিনিয়ায় বেঁধে
দেওয়া দামিনী তরঙ্গের নেশায় মজে থাকা
এক দন্ড উন্নত মম শির।
খেলি খেলারামের সাথে, ঢেউয়ের তালে সীমানায়
যাওয়া কঠিন বালুচরের মরুকায়,
জেগে থাকি সাত আসমান কামনায় এই
দুনিয়ার একটা ফসলের মাঠ তৈরি করতে।

১১. আমি চেতনায়,
সদাক্ষণ সারাক্ষণ থাকি ভাবনায় মজে
দেখি স্বপ্ন আমার ভবিষৎ নিয়ে
কতদূর যেতে পারবো কতটা নিয়ে,
চোখ কান খুঁলে স্বরণে রাখি,
ভঙ্গুর কাল যেন আমায় ভাঙ্গতে না পারে,
পর্দার ওপারে রাখা মরিহে যেন
সারাজীবন জ্বলতে না হয়  এই বুকে।

১২. আমি অবাধে,
মানি নাকো নিয়ম শৃঙ্খল বদ্ধতা,
শুনি নাতো ভয়ের আভা, ভয়ান্নে
বেঁধে থাকার আবেশে,
যাই যথা তথায় মনের মত করে
ঝড় তুফান উপেক্ষা করে,
সুদূর সুরঙ্গে থাক না তাতে মরণের-
মরণ কামড় জ্বালাময়ে।

কবিওকবিতা
আমি এলোমেলো,
এই জগত সংসারের পয়ারে,
ঘাসের বুকে কিংবা তরুছায়ায়,
যেখানে শ্যামল বরণ জাগরুক।
তবুও চলিনা স্বাভাবিকের গোড়ে,
মনে হয় ওখানে কিছূ নেই,
সকল পাওয়া যেন এলোমেলোতেই
আমার জন্য হাত ইশারায় ডাকে।

৮. আমি আলোকিত,
চির কথামালায় আঁকি আলোর গল্প,
ছুঁয়ে দেই ভুবনের আলোক সজ্জা,
ছুটে চলে তা দিক থেকে দিগন্তে।
যাই না কালোর কাছে ভয়ে,
অভয়ে মরার দারুন আশায়
কতটুকু আবেশে থাকবো ?
হবে কী আমার ঘর আলোকময় ?

৯. আমি যৌবনে,
পেরিয়ে এসেছি অবুঝ মানবের কাল,
ছুঁয়ে দেখা তরুরাজি আমায় জীবনের গল্প শোনায়,
বলে ইহাই সেরার সেরা কাল।
জানতাম সেরা, জানি সেরা তাই এই আবেশে
থাকতে চাই যুগের সাথে,
আমরণের বুকে দীর্ঘায়ু কামনায়
ফূল পাপড়ির কথা মালায় অনন্ত অসীমে।

কবিওকবিতা
আমি দুরন্ত,
থামি না আমি কোন কৃত্রিম বাসনায়, দন্ডায়মানে;
এ ছুটে চলার সীমানা বহুদূর,
জানি না কিন্তু আমি তার রতনের রতন মন্দিরা।
জানতে চাই্‌ অজানা গোড়ের কাহিনী,
থাক না সেথায় অবেলার সুর;
কিংবা ফূলের ওপর মর্মাহত কাল-
থেকে কালে থেমে যাওয়ার যামিনী।

৫. আমি উত্তাল,
খর্গজে মাখি মাতন দোলা, অভিনাষী;
দূর থেকে দূরে আরও দূরে,
সীমানার ওপারে সাত আসমান ভূমে।
খেলে যাই তেলেশমাত রণভূমে,
উল্কিত পাথারে আঁকি ঘর সংসার;
দোজাহানের টানে মরি মরি-
কিংবা শূণ্য থলে হাতে নিয়ে কাঁদি। 

৬. আমি তারুণ্যে,
ছূঁড়ে ফেলি বার্ধ্যকের সকল ছায়া,
আনি তোলে ফসলের ফরমান,
রঙ্গিন ক্যানবাসে এক দন্ড সুখ।
ছুটে চলি এক চিলতে দুনিয়া জুড়ে,
এক থেকে আরেক সত্যের সন্ধানে,
পথ ভোলা উপুরে সোজা পথে,
যেখানে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

কবিওকবিতা
আমি চির,
আলো বাতাসের সাথে সম্মেলিত জগৎময়, রুপান্তর;
মানবের বুক থেকে বুকে সুখ দুঃখের সাফারি,
যেখানের পেছনে কান্নাও থাকে আবার হাসিও থাকে।
ঐ আকাশ এই মাটির চাদরে আমি বুনি ভালোবাসার স্বপ্ন,
উহাতে কোন বৈরিতা নেই;
বরং আছে অজস্র আশা ভালবাসার ঘরে-
লাল নীল সবুজ হলুদ ও আরও অনেক পতাকা।

২. আমি আগুয়ানে,
কম্পিত ভূমির বুকে একগুচ্ছ সাহস, হিম্মত;
রক্তের সাথে রক্তাক্ত দেনা পাওনা,
মুছে দেই চোখের নিগাঢ়ে ভাসা দুঃখটা।
কালে কালে যা দিয়ে যায় কালো কাল,
সেখানে আঁকি মনের মন মনান্তর;
আছে শির হিমাদ্রী ধরে পথ-
চলার অদম্য চিন্তা চেতনার ফলশ্রতি।

৩. আমি মুক্তিতে,
গেয়ে যাই মুক্তির গান গুঞ্জনে, কূজন;
বাতাসের ভিতর হাত বাড়িয়ে দেখি মুক্ততা,
অতঃপর আমি পাই স্বর্গীয় শ্যামা।
যাঁরা বন্দি রোষানলে নির্যাতিত রুদ্ধ,
সেখানে ছুঁড়ে দেই আমার পতাকা;
ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় খোঁলা জানালার-
ক্যানভাসে দেখা জনতার কাতারে হাজারো সুখের চোখ।

sislam8405

{Facebook#https://www.facebook.com}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget