মে 2017

Bangladeshবাংলাদেশ
কত স্বপ্ন দেখে চলি, কত কথা গানে বলি;
মাটির সাথে বুক থাকি, ভালোবেসে  মিশে থাকি ;
মুক্ত বাতাসে ওড়ে পতাকা লাল সবুজের এ দেশ।

বাংলাদেশ সে তো বাংলাদেশ
রক্তে কেনা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
উঁচু মাথায় রাখি বাংলাদেশ।

গানে সুরের দেশ বলি, মনের কথা মুখে বলি;
 লালন হাসনের গান বাজে, মনটা রয় না কাজে
একতারায় পাগল করা, বাংলার রুপ তাতে ধরা;
পরাধীনতার কথা জানি, স্বাধীন দেশটা তো মানি;
মুক্তির সংগ্রাম নয় মিছে, স্বাধীন দেশে আছি বেঁচে;
মা বোনের ইজ্জতের দাম, এ দেশটা তো কিনলাম ;
কৃষকের ফসলে শ্যামল, শ্রমিকের ঘামে ভেজা কপল;
সকাল থেকে রাত খাটে, দু বেলা দু মুঠো না জোটে;
ভাতে মাছের কাল নেই, সোনালি দিন গুলি গেল কই ;
শেখ মুজিবের এ দেশ, শহীদ জিয়ার এ দেশ।


নষ্ট রাজনীতির বেড়াজাল, শিক্ষানীতিতে শুদ্ধতার অকাল;
অফিস আদালতের কাজ, ঘুস কারবারিতে পড়ে ভাঁজ ;
রাস্তা ঘাট ভাঙ্গা চুড়া, যানজটে শহর ভরা;
শ্লোগানের মোরা মুখরিত, আন্দোলন করি অবিরত;
স্বপ্নটা কী ছিল, এ দেশটা কী পেলো;
শান্তনা আছে শান্তি নেই, অশান্তি যে সদাই;
মসজিদের আযান শুনি, নামাজে পড়িনা শয়তানি;
কোরআন হাদিস  পড়া কই, মুক্তি নেই ধ্বংসই;  
দুচোখ যায় অন্ধকারে, আলোটা কাছে রয় পড়ে;
নজরুলের এ দেশ, রবি ঠাকুরের এ দেশ।


সত্য কাজে  কয়জনা, মিথ্যেই তো শান্তনা; 
ছুটে চলা পথ ধরে , জীবন থামেনা কারো ডরে;
চিকিসার নামে হয়রানি, কমিশন নিয়ে দৌড়ানি ;
মেধা দিয়ে কী হবে, চাকরি কেউ না দিবে;
বেকারের কষ্টটা কত, প্রাণ বায়ু যায় অবিরত;
অনাহারে দিন কাল যায়, কুকুরের খাবার তাঁরা খায়;
বাটপারি আর লুটতরাজ, খুন জখম যেন নিত্য কাজ;
মনুষ্যত্ব আর বিশ্বাস, ফুরিয়ে গেছে তার আভাস ;
প্রেম প্রিতি ভালোবাসায়,  বাঁধা হবে ঘর আছি আশায়;
শহীদ সোহরাওয়ারদির এ দেশ,  জীবনানন্দের এ দেশ।


সাইফুল ইসলাম,  তারিখ ও সময় ;- ১৭-০৫-২০১৭, ১৭-০০

এই ফাগুনের মেলে কোকিলের ডাক কূহে
বর্ণিল সমীরণা কুঞ্জালি কোলে রহে
আমি খুঁজিয়া পাই দামাদলের হিমাদ্রী
ফুলের আবরণে ডাকা সমূদ্র বাওয়া নদী,
 হিজলের বাঁকে সন্ধামালতীর সুখ পিয়ানা
দেখি আমি ভাললাগার ডাঙ্গুলি মনা-
লালে লাল গোলাপের ভিতর নারীর পদ্দাধির
মেহতানে আঁকা সিক্ততার ফূল ঝুরিতে ভীড়
এখানে নদীয়ায় কলতার বেলী ফুলের ঢেউ
তিতাসের বুকে স্নান করে নারীর বক্ষ তেউ-
দোলমানে যাযাবর চৈতিকার দর্শনে দুনিয়া ফেউ
দোলমানে যাযাবর চৈতিকার দর্শনে দুনিয়া ফেউ

১১
আছে তটিনি রঙ্গিন আভায় ভিন্ন ফালুকা
দুপায়ে ভর করে চলে তাহা দেখা
রঙ্গে সাধিনু বাতি ঘরে মন জঠর কণিকা
যমুনার বুকে ঘুম পাড়ানো কোকিলের কেঁকা,
নারিকেলের ছটায় টিনের চালে ধুম ধুম পিনা
রীতি নীতির বালিকার কেশর দমিনা,
ঝাউ বনে ফিঙ্গের কাওয়া
মরুতল নিশ্চুপ ঝরনার জলে, তব রুপ ছায়া
দেখা নেই অনুভবে আলতা রাঙা
জোছনা কূলে সমীরণ রেখা ঘুম সকলে ভাঙা-
ভোরের দ্বারে নিশ্চুপ পার শব্দ সাঙ্গা
১২
এই পদ্দার পাঁড়ে ঘুমিয়ে পড়ি অহরহ
কাগজের নৌকায় পা খানি মেলিয়া রহ ,
গানের মাতালে ভাটিয়ালি সুর
ছড়িয়ে যায় অদূর দূরান্তে নয়ন বহুদূর
ছমছম হিম বাওয়া ইলিশের কাওয়ালি
মাতয়ালি প্রেখম নাঁচন শরীরে তব ্যালি,
চলে যাওয়া নিশানায় ভর করিয়া
দেহ ভেজাই আত্মার জলে ডুবিয়া-
তরুলতা বাহুবান বালুর দুয়ারে
ছবি আঁকা ওখানে ঢাগর চোখের ভিতরে,
বাঁচিবার যাই নীল কুমতায় শয়ন বাঁধিবারে

আমার বুক জুড়ে বর্ষার ঝিলিমিলি
কানায় কানায় জলধার বিজলী
ধোয়ে দেওয়া নারীর চরণ দুখানির বাতায়ন
আবহকাল জুড়ে ভালবাসার পূষণ,
ঘুমিয়ে থাকা আবেশে দেয় মনিহার প্রিয় মন
জাতি আমার বাঙ্গালি, বাংলার সৌভন,
একাকারে প্রজ্জল হিন্দোল মাদুলির মূধন
পরশ বুলায় হেমন্ত রাগিনী সৃজন,
দুপাতে মনিহার ছড়ানো মায়ের আঁচল
কামনার আঙ্গিনায় লাজুক লতার হিমল
মাটির উপর স্পর্শে সীমানা বহুতল
এই শীতের কূয়াশায় পিঠা পায়েশের সারি
মৌ মৌ পিনার ঠাগঢ়ে উথলে খিচুড়ি
ভাপা পিঠার টানে দাদুর আনারি
সৃর্য্য মামার উঁকি দেওয়া জানালার ধারি,
সাদা ফতেকায় চাদরের দিপাতি
ঘুম ছাড়েকি? ঠক ঠক শীতে কাঁথার রীতি
যাও দাদু ভাই স্কুলের বেলা যে হল
চাদর জড়িয়ে কূয়াশার আঁকড়ে সময় গেল
ঠান্ডা ভাতের থালায় জড়ানো হস্ত ধরি
পাঁজর কাঁপে মরি মরি তবুও নাহি ছাড়ি
সবেতায় দিন  দিনানে- উহার রুপ বাংলার বাড়ি
যেতে কি দায়? অন্য রাজি অন্য পয়রায়
কোন সে নাটে কিবা পাওয়ার বাসনায় ?
 তোলকামে বন্দি মানবীর অহেরি নায়
গুপ্ত পাথরায় দানবির দায়,
যেতে নাহী আপনা থাকি সবই মিলে
যাই বঙ্গেতে পূর্ণতার মনি রসালে
ভাব বর্ণিতা বাতায়নের ঢালা অন্যথায়তো নেই
শ্যামল শস্যে বাংলার তরী আমাদের এই,
কত চাই তত পাই স্বর্ন চেয়ে দামি মোর কামিনী
চোখের সাম্যে দিগন- পাঠশালার আলোক দানি
মন মাতানো ফড়িংয়ের বুকে যথাকার রৌদ্রানি

রাখালির বাঁশিতে বাংলার সুপ্ত চেতনা
বধূয়ার মনে মাতোয়ালি শান্তনা
নূপুরের আবেশে গরু মহিষের পালে
ছোট কথার বিন্দু সীমানার পলে,
যে যাও, রাখাল তুমি বাজালে গীতি
পেছনে চাতকিনী, ধরো না তাহারে রঙ্গ প্রিতি ?
জমিনের সফেদে লহতান চেহারা
নোলক নড়ে চাঁপা ফুলের ঢাগর ধারা-
হিমেল বাওয়া রঙ্গ বাহুর বর্ষিতা
সুন্দর নাঁচে কেশর দোলে নারী সবিতা-
সাম্য কূলের রুপে মরি, লয়ে যাও রাখাল সেথা
                                                   
ধানের ঘ্নানে শিল্পির মুয়ূরী তোলা স্নান
ভেসে আসে বাক্যেলাপের দূর বর্নিতা দিব্য প্রাণ
এলোকেশে  শ্রাবণে ঢালপালা
মাঠের পরে মাঠ বাংলার চির ধর্ম খেলা,
ডাক দিয়ে যায় আসমান
ঝড় হবে প্রলয়ান পিনার অঙ্গ ছোঁয়ে অভিযান
মৌনতার বেড়াজালে পঙ্খিলতার নজর
দূর বহূদূর আমার শ্যামল মায়া সুপ্রসর,
জেগে থাকে যামিনী আলোক কাননে
ভালবাসার গাঁথা মালায় প্রাণে প্রাণে
দর্পনে সাম্যি সখার কমলি লতার সমীরণে
আমার চোখ জুড়ে শ্যামল বরণ সবিতা
দোজাহানের নমুনায় রক্ত ছবিতার পাঁজর মিতা
দোলে বাংলার রুপ, দোলে আপনার মন
মধুর পিয়াসিনু স্মৃতির দুয়ারে গল্পের চুম্বন
আমার বিজনে চেতনার হিমলতা সঙ্গে
আলোক ফসল আমাদের বাংলার রঙ্গে বঙ্গে
নিঃশ্বাসে যথাই সুখ তনু জিঞ্জির গাঁথা
সোনালি সবুজের আত্মায় চুঁমি, যৌবন সেথা,
দোলে দোলরুমি রোদন মল্লিকার কেশর
আশার অঙ্গ দোলে, পেয়ে মর্মিতার প্রহর
রক্তের আবেশে ফুল কামিনীর সমপর

দোয়েল কোয়েল বক টিয়ার গায়ে আমার রুপ,
কখনো খঞ্জরে আঘাতের মত ব্যাথির,
উহারতো মর্মে আবেগি নাই, দূরে রাখার,
তাই পস্তাবতে পাঞ্জেরি লুটায়,
এই চোখের কামনায় সঙ্গিতি বাসনা-
জোছনার সাথে স্বপ্ন সবিতার খেলায়,
মেঘালয় ঝরে জল তরঙ্গের ঢেউয়ে,
সে এক মানবী মায়ার রুপান্তর পশলা,
যুগ থেকে যুগান্তরে ধরায় বঙ্গের গায়ে
মাঠে মাঠে শ্যামল শর্মিতার কোলে
আঁকা থাকে কাহিনী হয়ে রক্তের খাতায়
১৭
স্বাধীন সত্তার দুয়ারে জাগ্রত জাতির শির
ছুটে চলে অধিকারের আর্বে,
মূল্য চাই কাঙ্খিত পথে আমাদের মত-
যেথার দেনাপাওনার আরশীতে লাল নীল পতাকা-
এই বাংলার হাতে তাহা উন্নত মম শিরে
সর্বদা উড়ে, কি বুকের হিমাদ্রী সাহসে,
উহা বাংলার তলাতল বাওয়া,
জাতির সাম্যে রক্তাক্ত নদীর পর সুখের পয়রা,
এক ফোটা মায়ের অশ্রুসজল
তথাপি কতনা দাবানলে দাউ দাউ সীমানা,
পোড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়ায়না
১৮
আমার আছে বাংলার বিশাল পতাকা তল
ত্রিশ লক্ষ কাপড়ের বেধ, অসীম সীমানা,
কোথায় তুমি থাকিবে ভেবে দেখো ?
নদীর তরে জল কিংবা বনের তরুরাজে ?
যাও যথাই কামনার ফুলশাখে-
খুঁলিয়া লও নজরে, গুপ্ত চেতনার পিয়াসা,
যাহা দেখনি দেখিয়া লও
যাহা ভাবোনি ভাবনার অসাম্য নমুনায়
কপাটের ওপারে সুনীল সমাহার
খোঁলে ধরো জানালার পর্দাখানি দোলে
পৃথিবীর শ্যামে বাংলার বুকে কি যথাকার


কে যাও তুমি এই মেঘলা সময়ে
আমার নিভে থাকা চেতনাবোধ জাগিয়ে
ধ্যান মগ্নতায় ছিলাম অনেকটা সময়
কী বাতাস লাগালে তুমি এই হৃদয়
ছিন্নভিন্ন এই জীবনে যেন এলো এক নব উদাসী বাওয়া
হারিয়ে গেলাম প্রেমারি আবেশে ফুলকলির হাওয়া(২)

মেঘ সরে গেছে কি? নাকি নব উদ্যমে তার আবার ছড়াছড়ি?
এবার সব উপুড়ে দিবে অগোছালো ধ্বংস কামুড়
না না না এমন তো মনে হচ্ছে না, এ এক স্পর্শের মায়া
ছিন্নভিন্ন এই জীবনে যেন এলো এক নব উদাসী বাওয়া
হারিয়ে গেলাম প্রেমারি আবেশে ফুলকলির হাওয়া(২)


এক অন্ধকারে কতকাল যেন পড়ে আছি দুরাশায় মজে
পথ পাইনা একটু আলোর দিকে যাবো স্বপ্নের সাথে কুঞ্জে
 জীবনের সাথে জীবন তো মেলেনি, এবার কী প্রেম মায়া
ছিন্নভিন্ন এই জীবনে যেন এলো এক নব উদাসী বাওয়া
হারিয়ে গেলাম প্রেমারি আবেশে ফুলকলির হাওয়া(২)


মনে মনে বলি তুই যে আমার সাথি
চোখ মেলে তাকিয়ে খুঁজি সেই সব দিনরাতি
একা একা অদূর আলাপের সেই শব্দটা যেন শুনি
নেই কিছু নেই, রয়ে গেছে যা তা মিশিয়ে দুঃখটা বুনি
কোথায় গেলো সেই প্রিয় মানুষটা, যাকে ভেবেছি এই জীবনের জীবনটা (২)

ফুল নেই, সারা বাগান খুঁজে একটাও ফুল আমি পাইনি
বিরহী ভরা হৃদয় আমার কাঁটায় ভরে গেছে তুমি তা দেখনি
কাঁদি না আমি, কেন কাঁদব, কষ্টে ভরা এই মনটা
কোথায় গেলো সেই প্রিয় মানুষটা, যাকে ভেবেছি এই জীবনের জীবনটা (২)

পর হয়ে গেছো, বহুদূরে জানি তোমার নতুন আবাসন
ভয় পেয়োনা কখনো তোমায় দেখতে যাব না একটুক্ষণ
ভালোবেসেছিলাম, মনে রাখোনি, তাই ভালো নেই হৃদয়টা
কোথায় গেলো সেই প্রিয় মানুষটা, যাকে ভেবেছি এই জীবনের জীবনটা (২)

sislam8405

{Facebook#https://www.facebook.com}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget